দিনেদুপুরে ভয়ংকর কাণ্ড, ঘরে ঢুকে গৃহবধূর গলায় ছুরি চালিয়ে দিল পনিরওয়ালা


মনোজ মণ্ডল: দিনেদুপুরে ভয়ংকরকাণ্ড। মধ্যমগ্রামে নিজের বাড়িতেই খুন হয়ে গেলেন গৃহবধূ। বুধবার সকাল ১১ টা নাগাদ খুন হন মধ্যমগ্রাম থানার কাজী নজরুল ইসলাম সরণির বাসিন্দা পারমিতা চক্রবর্তী। তাঁর গলায় ছুরি চালিয়ে দেয় এক ব্যক্তি। প্রতিবেশী ও পরিবারের বক্তব্য ওই ব্যক্তি ওই গৃহবধূর বাড়িতে পনির দিতেন।

আরও পড়ুন-হামাসের সঙ্গে লড়াইয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইজরায়েলের সারমেয় বাহিনী, জেনে নিন K-9 সম্পর্কে

পরিবারের লোকজনের দাবি, ঘটনার সময়ে বাড়িতে ছিলেন পারমিতা ও তাঁর ছেলে। পারমিতা নীচের ঘরে ছিলেন। ছেলে ছিল উপরে। সেইসময় এক পনির বিক্রেতা তার বাড়িতে ঢোকে এবং জল খেতে চায়। তারপরে হঠাৎ চিৎকার শুনে ছেলে বাড়ির নিচে গিয়ে দেখে মা রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে। পরিবারের অন্যান্যদের দাবি, গলায় সোনার চেন ছিল। সেই  সোনার চেন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেন পারমিতা। তখনই পনিরওয়ালা মহিলার গলায় ছুরি চালিয়ে দেয়।

রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে বারাসাতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করে। তবে পনির বিক্রেতাকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। পালানোর সময় এলাকার মানুষ তাকে ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেয়।

ঘটনার তদন্তে নেমেছে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিস। বারাসত জেলা পুলিস সুপার ভাস্কর মুখার্জি জানান, ঘটনায় অভিযুক্ত বর্তমানে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি আছে। জিজ্ঞাসাবাদ করার মত অবস্থায় ছিল সে নেই। তবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। খুনের পেছনে তার কী মোটিভ ছিল তা জানা যাবে।

মৃতার স্বামী শিবাশিস চক্রবর্তী বলেন, খবর পেয়ে সোজা হাসপাতালে এলাম। দেখলাম বডি ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। শুনলাম লোকটা পনিরওয়ালা। গলায় ছুরি চালানো হয়েছে। ঘটনার আগে স্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়। ও বলল পনিরওয়ালা এসেছে। বলছে মাথা ঘুরছে। ওকে বসতে দেয়। জল দেয়। বাড়িতে ছেলেআর  ও স্ত্রী ছিল। ছেলে ছিল দোতলায়।  

স্থানীয় বাসিন্দা সৌরভ দত্ত বলেন, যেখানে ঘটনা ঘটেছে তার কাছেই আমাদের ক্লাব। ওখানে আমরা ছিলাম। হঠাত্ একজন এসে বলল পাড়ার এক জনের গলায় চাকু চালিয়ে দিয়েছে। দৌড়ে গিয়ে দেখে ঘরে উনি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। চারদিকে রক্ত। আমরা দেখলাম একটা লোক পাঁচিল টপকে পালিয়ে যাচ্ছে। ওকে ধরা হল। এখনও পর্যন্ত যা জানতে পারছি তা হল উনি ওই মহিলার বাড়িতে পনির দিতে আসেন। শুনলাম উনি জল চেয়েছিলেন জল খেয়েওছেন। তার পর ওই কাণ্ড। সম্ভবত ওই মহিলার গায়ে সোনার গহনা ছিল। সেই গহনা ছিনতাই করতে গিয়েই ওই ঘটনা। মহিলাকে হাসপাতালে আনা হয়। এখন জানতে পারছি ওঁর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সময়ে ওঁর স্বামী অফিসে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। একমাত্র মেয়ে গিয়েছিল কলেজে। ভাবতেই পারছি না এরকম ঘটনা আমাদের এখানে ঘটতে পারে। দিনেদুপুরে লোকজন বাইরে ছিল তার মধ্যেই এই ঘটনা। ওই মহিলার স্বামী আমাদের ক্লাবের পুজোর সেক্রেটারি।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *