কাজল আরও বলেন, ‘বাম জমানায় আমি যখন লড়াই করে ছিলাম তখন ৬২টা মিথ্যে মামলা আমার বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছিল। তিন তিনবার আমাকে জেলে যেতে হয়েছিল। প্রত্যেকবার তিনমাস করে জেলে ছিলাম। ৯১ দিন পর জামিন হয়েছিল। তারপর দেখা গেল সেই মামলাগুলো কোর্টে বিচার হওয়ার পর আমি বেকসুর খালাস হয়েছে। আমার কোনও দোষ ছিল না।’
কাজল আরও বলেন, ‘ঠিক তেমনি অনুব্রত মণ্ডল যিনি বীরভূম জেলাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। অল্প দিনের মধ্যে তিনি বেরিয়ে আসবেন। যদিও এটা বিচার বিভাগীয় বিষয়। তবে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস উনি কোনও দুর্নীতিতে যুক্ত নন। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে উনি কাজ করেছেন। ওঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে, তবে ওঁর বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগগুলি প্রমাণিত হয়নি। আমরা আবারও বলছি যে বিচার হোক। দোষী হলে শাস্তি হোক। তবে এখনও কোনও প্রমাণ পেশ করা হয়নি। শুধু জামিনের বিরোধিতা করে তাঁকে জেলে বন্দি করে রাখা হচ্ছে।’
কাজলের বিশ্বাস কয়েকদিনের মধ্যে অনুব্রত মণ্ডল জামিন পেয়ে জেলের বাইরে বেরিয়ে আসবেন। তিনি বলেন, ‘ আমাদের বিশ্বাস উনি দোষী নন। তাই খুব কম দিনের মধ্যেই উনি বেরিয়ে আসবেন এবং আমাদের বীরভূম জেলায় উনি যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন ঠিক সেই ভাবেই আবারও দেবেন।’
উল্লেখ্য, গোরুপাচারকাণ্ডে গ্রেফতারির মুখে পড়েন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে প্রথমে গ্রেফতার করে CBI। তারপর তিনি ED-র হাতেও গ্রেফতার হন। আদালতের অনুমতি অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিয়ে যায় ইডি। এই মুহূর্তে তিনি তিহাড় জেলে বন্দি। গোরুপাচার কাণ্ডে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডলও। তিনিওই মুহূর্তে তিহাড় জেলে বন্দি। তবে ববাররই দল অনুব্রত পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। আগামী দিনে এই মামলা কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।