একনজরে পুজোর আবহাওয়া…
ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী
এই দুই দিন দক্ষিণবঙ্গে সেভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। মূলত শুষ্কই থাকবে আবহাওয়া। শুধু দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি নয়, উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ উৎসবের এই দিনগুলি কাটবে নির্বিঘ্নেই। একইসঙ্গে তাপমাত্রা এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তির বিশেষ সম্ভাবনা নেই। তার কারণ ধীরে ধীরে উত্তুরে হাওয়া দাপট দেখাতে শুরু করবে। ফলে একধাক্কায় তাপামাত্রা যেমন কমবে তেমনই নতুন করে আপেক্ষিক আর্দ্রতার কারণে ভ্যাপসা গরমের কোনও সম্ভাবনা নেই।
নবমী এবং দশমী
পুজোর শেষ দুই দিনে ‘অসুর’ হতে পারে আবহাওয়া। নিম্নচাপের জেরে নবমীর শেষ মুহূর্তে আবহাওয়ার বদল হতে পারে। মেঘলা থাকবে আকাশ। দশমীর দিন বেশ কিছু জেলায় রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
এই জেলাগুলি হল উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি ও কলকাতা। হালকা বৃষ্টিতে শেষ মুহূর্তের পুজোর লগ্নে ভিজবে জেলাগুলি। অর্থাৎ বর্ষা বিদায় নিলেও আপাতত স্বস্তি নেই সাধারণ মানুষের। বরং নিম্নচাপের জেরে হতে পারে বৃষ্টি।
এদিকে নতুন করে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং কমতে পারে তাপমাত্রার পারদ। উত্তুরে হাওয়ার জেরে ধীরে ধীরে পারদ পতন হতে পারে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও আবহাওয়া মূলত থাকবে শুষ্কই থাকবে।
উল্লেখ্য, পুজোর মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থান করছিল এই ঘূর্ণাবর্তটি। তা শক্তিশালী নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং তা অন্ধ্র এবং ওডিশা উপকূলে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর গতিপথ কোন দিকে, সেই দিকে নজর রাখছেন আবহাওয়াবিদরা। এই নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণা বাতাসের উপর নির্ভর করে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প রাজ্যে প্রবেশ করতে চলেছে। এর ফলে উপকূলের জেলাগুলিতে বাড়বে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।
এছাড়াও আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে রয়েছে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবিবার পর্যন্ত সেখানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। কেরল এবং মাহেতে হতে পারে বৃষ্টি। এছাড়াও ভিজতে পারে কর্নাটক এবং তামিলনাডু।