ঠিক ঘটনা ঘটেছিল?
নন্দকুমার ব্লকের শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ২৩ টি। তৃণমূল পায় ১১ টি, সিপিএম ৫টি, BJP ৫ টি এবং নির্দল ২ টি আসন পায়। ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েতে নিজেদের দখলে রাখতে সিপিএমের প্রার্থীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গত ১১ অগাস্ট বোর্ড গঠনের দিন। তৃণমূল বোর্ড গঠন করলেও বোর্ড গঠন নিয়ে বিতর্ক ওঠে। বিরোধীরা কোর্টে যায়। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ছয় সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় আবার নির্বাচন করে বোর্ড গঠন করা নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশের পর গ্রাম পঞ্চায়েত নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ে।
রায়ের পর রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেনকুমার মহাপাত্র জানান, ‘আইনের বিপক্ষে আমরা নয়। অপরাধ করলে দল তা মেনে নেবে না। কোর্টের রায় মেনেই আবার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বোর্ড গঠন। যারা এই রায়কে নিয়ে নাচানাচি করছে তাদের নিজেদের ঘর আগে দেখুক৷ বাংলায় সিপিএমের অস্বস্তি খুঁজে পাওয়া যায় না, তারা আবার বড় বড় কথা বলে আর BJP, তারা আগে নিজের ঘর সামলান। কারণ- শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বোর্ড গঠন নিয়ে নিজেদের গণ্ডগোল নিয়ে নিজেরাই কোর্টে গিয়েছে। তারা আবার বেশি কথা বলে।’ তবে বিরোধী রাজনৈতিক দল সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি ও BJP-র রাজ্য কমিটির সদস্য প্রদীপ দাস কোর্টের এই রায়কে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাদের মন্তব্য, ‘কোর্ট আছে বলেই বাংলার মানুষ তার অধিকার পাচ্ছে, না হলে পিসি ভাইপোর রাজ্যে সবাই বঞ্চিত হয়ে থাকতো।’
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে উঠেছিল ভুরি ভুরি অভিযোগ। কোর্টেও দায়ের হাজার হাজার মামলা। বাছাই করা মামলাই গৃহীত হাইকোর্টের কাছে। এখনও আদালতে অমীমাংসিত একাধিক মামলা।