সিবিআই কৌঁসুলি অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল এসভি রাজু জানান, মামলার তদন্ত এগোচ্ছে৷ অনুব্রতর আইনজীবী দাবি করেন, গোরু পাচার মামলার মূল অভিযুক্ত না হওয়া সত্ত্বেও টানা ১৪ মাস ধরে জেল হেফাজতে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁর মক্কেলকে। তিনি জামিন পাচ্ছেন না৷ জামিন একজন অভিযুক্তর ন্যায়সঙ্গত অধিকার হওয়া সত্ত্বেও বারবারই তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করা হচ্ছে অযৌক্তিক ভাবে৷
রাজুর পালটা সওয়াল, ‘অনুব্রত মণ্ডল প্রভাবশালী৷ জেল থেকে বেরলেই তিনি তদন্তকে প্রভাবিত করবেন, যা ইচ্ছে তাই করবেন৷ এটা একেবারেই কাঙ্ক্ষিত নয়৷’ তাঁর সংযোজন, ‘অনুব্রত মণ্ডল এতটাই প্রভাবশালী, তিনি বিচারকদের হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছেন৷’ এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতিকে বেশ কিছুক্ষণ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে দেখা যায়৷
এর পরে বিচারপতি বসু বলেন, ‘এই মর্মে প্রয়োজনে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে আবেদন করুক সিবিআই৷ হাইকোর্ট এই অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে৷’ এদিন কেষ্টর জামিনের পক্ষে জোরালো সওয়াল করতে গিয়ে তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, গোরু পাচার মামলায় যাঁরা ঘুষ দিয়েছেন এবং যাঁরা ঘুষ নিয়েছেন, তাঁরা সবাই জামিন পেয়েছেন, অথচ অনুব্রত জামিন পাননি৷
এই যুক্তি খণ্ডন করে রাজুর দাবি, ‘উনি জামিন পাওয়ার যোগ্য নন৷’ বিচারপতি বসু জানতে চান, কতদিন লাগবে এই মামলার তদন্ত শেষ করতে৷ তাঁর মন্তব্য, ‘অনির্দিষ্ট কাল ধরে একটি মামলার তদন্ত চলতে পারে না।’ চার সপ্তাহ পরে হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি৷