জিয়াগঞ্জে রয়েছে অরিজিৎ সিংয়ের পারিবারিক রেঁস্তোরা ‘হেঁশেল’। এই হোটেলটি চালান বিখ্যাত এই গায়কের বাবা সুরিন্দর সিং ওরফে কাক্কা সিং। কোনও মানুষকে যাতে খালি পেটে ফিরে যেতে না হয় সেই কারণে অন্যান্য রেস্তোরাঁর তুলনায় সেখানে খাবার দাবারের দাম অত্যন্ত কম।
পুজোর সময় যাতে কোনও গ্রহককে মনমরা হয়ে ফিরতে না হয় সেজন্য বাঙালিদের স্বাদের কথা মাথায় রেখে একাধিক নতুন পদ মেনুতে যুক্ত করা হয়েছে। থাকছে ইলিশের বিভিন্ন পদ। ‘পুজো স্পেশাল মেনু’-তে ঠাঁই করে নিয়েছে ইলিশের মাথা দিয়ে তৈরি কচুর শাক। যদিও হেঁশেলের অন্যতম প্রধান মেনু হল বিরিয়ানে। খুব অল্প দামে অরিজিৎ সিংয়ের পরিবারের বিরিয়ানির স্বাদ নিতে দূর দূরান্ত থেকে সাধারণ মানুষ ছুটে আসেন জিয়াগঞ্জের হাতিবাগানে।
এবার পুজোয় হেঁশেলে থাকছে আমিষ এবং নিরামিষ থালি। পাশাপাশি পড়ুয়াদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই দোতলা রেস্তোরাঁতে ভিড় সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা হয় কর্মীদের। তবে পুরোটাই নিজের হাতে সামাল দেন অরিজিৎ সিংয়ের বাবা সুরিন্দর সিং। বিভিন্ন উৎসবে সেখানে ভিড় বাড়ে।
‘হেঁশেল’-এর বিশেষ খাবার রুটি তড়কা এবং বিরিয়ানি। তবে পুজোর সময় থাকছে ইলিশের বিশেষ পদ। পাশাপাশি থাকছে সবজির পদও। তারমাধ্যে অন্যতম মোচার ঘণ্ট। হেঁশেলে পড়ুয়াদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়।
সংশ্লিষ্ট হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, পুজোর জন্যই পড়ুয়াদের জন্য থাকছে বিশেষ ছাড়। এই সময় হোটেলে দ্বিগুণ ভিড় আশা করছেন তাঁরা। প্রত্যেক গ্রাহক যাতে মনে তৃপ্তি আর ভরা পেট নিয়ে হেঁশেলের দরজা টপকান তার পাকাপাশি বন্দোবস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভিড় সামাল দিতেও রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
এদিকে পুজোর সময় এই রেস্তোরাঁতে গিয়ে অন্তত একবার অরিজিৎ সিংকে দেখার জন্য আশায় বুক বাঁধছেন ভক্তরা। তাঁদের কথায়, “অন্তত পুজোয় যদি একবার আসেন তিনি…”। তাঁদের সেই আশা কী পূরণ হতে চলেছে? এই প্রশ্নের জবাব দেবে সময়।