দুর্গাপুজোর আমেজে মেতে উঠেছে গোটা বঙ্গ। বিভিন্ন বারোয়ারিতে যেমন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে, তেমনই পিছিয়ে নেই বাড়ির পুজোগুলিও। এছাড়া বিভিন্ন মঠ ও মন্দিরের পুজোগুলিতেও চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। এর মধ্যে বেলুড় মঠ বিশেষভাবে উল্লেখ্য। মাঝে করোনার সময়টুকু বাদ দিলে, প্রতিবছরই দুর্গাপুজোয় লাখ লাখ মানুষ ভিড় করেন বেলুড় মঠের দুর্গাপুজোয়। এক্ষেত্রে শুধু স্থানীয়রাই নন, দূরদূরান্ত থেকে বহু ভক্ত ভিড় জমান বেলুড় মঠে। পুজোয় প্রতিদিনই বহু মানুষ যান মঠের প্রতিমা দর্শনে। তার মধ্যেও মহাষ্টমীর দিন ভিড় একটু বেশিই হয়। কারণ ওই দিন থাকে কুমারী পুজো। আর বেলুড় মঠের কুমারী পুজো বরাবরই ভীষণরকম জনপ্রিয়। তবে পুজো দেখতে যাওয়ার আগে অবশ্যই নির্ঘণ্ট জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
বেলুড় মঠের পুজোর নির্ঘণ্ট
ষষ্ঠী – সকাল সাড়ে ৬টায় শ্রী শ্রী দেবীর ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শ্রী শ্রী দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস।
সপ্তমী – ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে শ্রী শ্রী দেবীর সপ্তমীবিহীত পূজারম্ভ।
মহাষ্টমী – ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে শ্রী শ্রী দেবীর অষ্টমীবিহীত পূজারম্ভ। সকাল ৯টায় কুমারী পুজো এবং সন্ধ্যে ৭টা ৩৬ মিনিট থেকে ৮টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত সন্ধিপুজো।
নবমী – ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে শ্রী শ্রী দেবীর মহানবমীবিহীত পূজারম্ভ। দুপুর সাড়ে ১২টায় হোম।
বিজয়া দশমী – সকাল সাড়ে ৬টায় শ্রী শ্রী দেবীর দশমীবিহীত পূজারম্ভ। শ্রী শ্রী ঠাকুরের সন্ধ্যারতির পর প্রতিমা নিরঞ্জন ও শান্তিজল প্রদান।
বেলুড় মঠের পুজোর নির্ঘণ্ট
ষষ্ঠী – সকাল সাড়ে ৬টায় শ্রী শ্রী দেবীর ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শ্রী শ্রী দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস।
সপ্তমী – ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে শ্রী শ্রী দেবীর সপ্তমীবিহীত পূজারম্ভ।
মহাষ্টমী – ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে শ্রী শ্রী দেবীর অষ্টমীবিহীত পূজারম্ভ। সকাল ৯টায় কুমারী পুজো এবং সন্ধ্যে ৭টা ৩৬ মিনিট থেকে ৮টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত সন্ধিপুজো।
নবমী – ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে শ্রী শ্রী দেবীর মহানবমীবিহীত পূজারম্ভ। দুপুর সাড়ে ১২টায় হোম।
বিজয়া দশমী – সকাল সাড়ে ৬টায় শ্রী শ্রী দেবীর দশমীবিহীত পূজারম্ভ। শ্রী শ্রী ঠাকুরের সন্ধ্যারতির পর প্রতিমা নিরঞ্জন ও শান্তিজল প্রদান।
ভোগ বিতরণের সময়
পুজোর দিনগুলিতে প্রসাদ বিতরণ করা হবে দুপুর ১২টা থেকে। মা সারদা সদাব্রত ভবন থেকে হবে প্রসাদ বিতরণ। প্রত্যেকদিন শ্রী শ্রী দেবীর ভোগারতির পর হবে পুষ্পাঞ্জলী। অন্যদিকে শ্রী শ্রী ঠাকুরের সন্ধ্যারতির পর হবে শ্রী শ্রী দেবীর সন্ধ্যারতি।
বেলুড় মঠের সঙ্গে আর যে স্থানগুলি ঘুরে দেখতে পারেন
প্রসঙ্গত, সারাবছরই বহু মানুষ ভিড় করেন বেলুড় মঠে। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ দর্শনার্থীই বেলুড় মঠের পাশাপাশি দক্ষিণেশ্বর বা আদ্যাপীঠের মতো জায়গাগুলিও ঘুরে দেখেন একইসঙ্গে। তারমধ্যে পুজোর সময় বাড়তি ভিড় দেখা যায় বেলুরমঠে। প্রতিবছরই পুজোর সময় ভোগ বিতরণেরও আয়োজন থাকে বেলুড়ে। দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্তরা সেই প্রসাদ গ্রহণ করেন। ব্যতিক্রম থাকছে না এবারেও। বিপুল ভিড় সামাল দিতে থাকছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।