Chandrayaan-3 Information : লাইটিংয়ে চন্দ্রযান ৩! মণ্ডপে ঢোকার পথে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে দর্শনার্থীদের – chandrayaan 3 lighting made by chandannagar electricians for durga puja decoration


চন্দননগর মানেই চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা। দুর্গাপুজো হোক বা জগদ্ধাত্রী পুজো প্রতিবছরই আলোর জাদুতে অভিনবত্ব আনেন শিল্পীরা। আর এই আলোকসজ্জা দেখতে দূর দুরান্ত থেকে মানুষ আসেন প্রাণের শহর চন্দননগরে। এলইডি ও টুনি বাল্ব দিয়ে অ্যানিমেশনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয় ছোটা ভীম, ডোরেমন, স্পাইডারম্যান থেকে বিভিন্ন রকমের আলোকসজ্জা। এবারেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। চন্দননগরের আলোকসজ্জায় স্থান পেয়েছে ভারতের চাঁদ জয়। লাইটিংয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে চন্দ্রযান ৩।

গোটা দেশ চন্দ্রযন ৩-এর সফলতায় উচ্ছ্বসিত। চন্দননগরের আলোকশিল্পীরা নিজেদের কাজে ভারতের গৌরবকে ফুটিয়ে তুলেছেন। ইসরোর রকেট উৎক্ষেপণ থেকে চাঁদে বিক্রমের ল্যান্ডিং, থ্রিডি লাইটিংয়ের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন তাঁরা। চাঁদের দক্ষিণ মেরু ছুঁয়েছে ভারতের চন্দ্রযান। সেটিকেও আলোক মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন চন্দননগরের শিল্পীরা। চাঁদের মাটিতে কী ভাবে প্রজ্ঞান চলে বেড়াচ্ছে সেটাও দেখা যাবে এবারের দুর্গাপুজোয়। লাইটিংয়ের মাধ্যমে ডেঙ্গি সচেতনতাও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

করোনার পর থেকে আলোক শিল্পীদের বাজার কিছুটা মন্দ হতে শুরু করেছিল। অনেকেই ভিন্ন পেশায় যুক্ত হয়েছিলেন। মহামারী কাটিয়ে ফের ছন্দে ফিরছে এই শিল্প। শুধু কলকাতা নয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে চন্দননগরের আলো। ফলে স্বাভাবিকভাবে খুশি আলোর শিল্পীরাও।

Sodepur Durga Puja Pandal 2023: শ্রীভূমির ডিজনিল্যান্ডের সঙ্গে পাল্লা দিতে তৈরি সোদপুরের প্যারিস অপেরা হাউস, রয়েছে আরও চমক
চন্দননগরের এক আলো শিল্পী অসীম দে বলেন, ‘এবারের পুজোয় আলোক শিল্পের মাধ্যমে চন্দ্রযান ৩-এর ভারত বিজয় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। লাইটিংয়ে উড়ছে BSLV রকেট। চন্দ্রযানের ল্যান্ডিং, রোভারের মুভমেন্ট ও সোলার প্যানেলের খোলা সেটাও দেখানো হয়েছে। তার মধ্যে আলো দিয়ে পুরো বিষয়টা ফোটানো হয়েছে। চন্দননগর এখনও তার মেকানিজমের জন্যই বিখ্যাত। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে চন্দননগরের আলোক শিল্প বিভিন্ন রাজ্যে বিক্রি হচ্ছে। তার ফলে এখানকার টেকনোলজি বেরিয়ে যাচ্ছে। আগামী দিনে নতুন প্রজন্ম চন্দননগরের আলোক শিল্পে আরও নতুনত্ব না আনতে পারলে, সমস্যা বাড়বে।’

শিল্পী অভিজিৎ দাস বলেন, ‘চন্দ্রযান ও ডেঙ্গি সচেতনতা নিয়ে আমাদের কাজ করা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে প্লাস্টিক বর্জন, গাছ লাগানো মত সচেতনতার কাজ আলোক শিল্পের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। স্ট্রিট লাইটের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে বিভিন্ন অ্যানিমেশন। আলোর আকার অনুযায়ী প্রথমে কাগজে আঁকা হয়। সেটাকে কম্পিউটারে প্রিন্ট্র করা হয়। তারপর তা হাতের মাধ্যমে প্রিন্ট করে লাইট লাগানো হয়। মেকানিজমের ক্ষেত্রে এঁকে লোহার ও ফাইবারের স্ট্রাকচার করে লাইট লাগানো হয়। এই কাজ সারা বছর চলে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *