পুজো উদ্যোক্তা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বলাকার এবারের পুজো বাজেট প্রায় ৩৮ লাখ টাকা। পুজোর মণ্ডপ সজ্জায় বিশেষ ধরনের চমক থাকছে বলে জানা গিয়েছে। থিমের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ধারাযাপন’। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের শিল্পীরা ধারাযাপন থিমের রূপদান করেছেন। আর সেই মণ্ডপ নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা।
সমুদ্রের তলায় বহু প্রাণীর বাস। প্রবাল, ক্যাকটাস যেমন রয়েছে তেমনই বিভিন্ন প্রজাতির মাছ,সি হর্স, অক্টোপাস থেকে হাঙর তিমি। বিশ্ব উষ্ণায়নেপ ফলে সেই সমুদ্রের জলেই এখন দূষণ বাড়ছে। প্লাস্টিকের ব্যবহার মানুষের সভ্যতাকে যেমন সংকটে ফেলছে তেমনই সেই সব জলজ প্রাণীর জীবন ধারন সংকটে পরছে।
বলাকার পুজো ঠাঁই পেয়েছে মৎস্যজীবীদের জীবনও। তাঁদের কঠিন সংগ্রামের ছবি এই পুজোর মণ্ডপে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তাঁদের জীবন সংগ্রামের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে থিমে। মণ্ডপ সজ্জায় ব্যবহার করা হয়েছে নৌকা, জাল, মাছ মৎস্যকন্যা। এমনকী বিভিন্ন মাছের মডেলও রয়েছে এই পুজো মণ্ডপে। থিমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মণ্ডপে বাজবে আবহ সংগীত। উদ্যোক্তারা মনে করছেন অন্যবারের থেকে আরও বেশি করে ভিড় করবেন এই পুজো মণ্ডপে। তাই প্রশাসনের নির্দেশ মতো সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পুজো কমিটির উদ্যোক্তা বলেন, ‘এবারের আমাদের পুজো ১০৮ বছরে পা দিল। সে বিষয়টি মাথা রেখেই এবারের থিম আমাদের ভাবনা ধারাযাপন। সমুদ্রের নীচের জীবন তুলে ধরা হয়েছে এই পুজো মণ্ডপে। এমনকী মৎস্যজীবী জীবনের বিভিন্ন দিনও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এবার আমাদের পুজোর বাজেট ৩৭ লাখ টাকা।’
বলাকার পুজোয় ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থী বলেন, ‘দারুণ প্যান্ডেল হয়েছে। দেখে আমাদের খুবই ভালো লাগল। এবারের থিম আমাদের খুবই পছন্দ হয়েছে। আশা করি পুজো অন্যান্য দর্শনার্থীদেরও ভালো লাগবে। প্রত্যেকবার এই পুজোয় বিশেষত্ব থাকে। এবারও তা রয়েছে দেখে আমাদের ভালো লাগছে। পুজো উদ্যোক্তাদের উদ্যোগ খুবই ভালো।’