বুধবার দুপুরে টাকির ইছামতী বক্ষে লঞ্চে দু’দেশের প্রশাসনিক বৈঠকে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ আধিকারিক-সহ হাসনাবাদের বিডিও, টাকি পুরসভার পুরপ্রধান ও উপপুরপ্রধান-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
অবিভক্ত বাংলায় টাকির ইছামতীর বুকে বিসর্জনের উৎসবের ঐতিহ্য কয়েকশো বছরের। বিজয়ার দিন ইছামতীর বুকে থাকে না কোনও সীমারেখা। একই নদীর বুকে ভারত বাংলাদেশের নৌকা নামে দু’দেশের প্রতিমা নিয়ে। সাক্ষী থাকেন কয়েক লাখ মানুষ। কয়েক বছর হলো নিরাপত্তার কারণে টাকির বিজয়ার উৎসবে ইছামতীর জলসীমায় টানা হয় কাল্পনিক সীমারেখা।
বিষয়টি নিয়ে টাকি পুরসভার পুরপ্রধান সোমানাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘সীমান্তে বিএসএফ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের আধিকারিকদের মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে ঠিক হয়েছে দুই দেশ নিজেদের জলসীমায় প্রতিমা বিসর্জন করতে পারবে। বিসর্জনের দিন বেলা সাড়ে বারোটা থেকে বিসর্জন শুরু হয়ে চলবে সাড়ে চারটে অবধি। পাঁচটার মধ্যে নদী থেকে সকলকে উঠে যেতে হবে।’
কতগুলি নৌকা ইছামতীতে নামবে ও এক একটি নৌকায় কতজন উঠতে পারবে সে বিষয়টি পরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে