Kamduni Case : কামদুনিকাণ্ডে হাইকোর্টের রায়ে মুক্তিপ্রাপ্তদের উপর শর্ত আরোপ সুপ্রিম কোর্টের – supreme court impose condition on those who get release by calcutta high court order in kamduni case


কামদুনির ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে যারা মুক্তি পেয়েছে, তাদের মুক্তির উপর এবার শর্ত আরোপ করল সুপ্রিম কোর্ট। অভিযুক্তরা রাজারহাট পুলিশ স্টেশন এলাকার বাইরে যেতে পারবে না। এক্ষেত্রে রাজারহাটের ওসির লিখিত অনুমতি নিতে হবে তাদের৷

ঠিক কী জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট?

  • এক্ষেত্রে রেসপন্ডডেন্ট লিখিতভাবে আইটিনারি জমা দেবে।
  • অনুমতি নেওয়ার সময়- কোথায় যাবে, কেন যাবে- তা সবিস্তারে জানাতে হবে।
  • অভিযুক্তদের রাজারহাট থানায় প্রতি মাসের প্রথম ও তৃতীয় সোমবার হাজিরা দিতে হবে।
  • শুধু তাই নয়, এই সময়ে যদি তারা কোনওরকমভাবে ঠিকানা বদল করে সেক্ষেত্রে তাদের থানায় জানাতে হবে।
  • যে মোবাইল নম্বর তারা ব্যবহার করবে তা লিখিত ভাবে জানাতে হবে থানায়।

উল্লেখ্য, কামদুনিকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় CID। আর এরই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট আগের শুনানিতে জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের উপর এখনই স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না। নোটিশ জারি করে সমস্ত পক্ষের থেকে জবাব তলব করেছিল শীর্ষ আদালত।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে রাজ্যে কামদুনির ঘটনা রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার এক তরুণীকে গণধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে। দিবালোকে কলেজ থেকে ফেরার সময় এই নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছিলেন নির্যাতিতা। ঘটনায় উঠেছিল নিন্দার ঝড়। ওই নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেখানে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কামদুনিতে দাঁড়িয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন, এই ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ সম্প্রতি কামদুনি মামলায় রায় ঘোষণা করে। কামদুনিকাণ্ডে সইফুল আলি এবং আনসার আলি যাদের নিম্ন আদালত ফাঁসির সাজা দিয়েছিল তাদের আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।

পাশাপাশি, নিম্ন আদালতে আমিনুর ইসলাম, ভোলানাথ নস্কর এবং ইমানুল ইসলামকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছিল। তাদের দশ বছরের জেল খাটার জন্য মুক্তি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি ফাঁসির সাজা পাওয়া আমিন আলিকেও মুক্তি দেওয়া হয়।

কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশ সামনে আসার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন কামদুনি আন্দোলনের অন্যতম দুই প্রতিবাদী মুখ টুম্পা কয়াল এবং মৌসুমী কয়াল। কোনওভাবেই এই লড়াই তাঁরা ছাড়বেন না, জানিয়েছিলেন এমনটাই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *