বুধবার হাওড়ায় এপিজে মেমোরিয়ালের দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। পুজো উদ্বোধনে গিয়েই রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন। ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন বঙ্গ বিজেপির এই শীর্ষ নেতা।
‘কামড়’ দিলে ডিএ দেবে
বেশ কিছু বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা একটি মন্তব্য নিয়ে মুখ খুলেছেন সুকান্ত। ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শুধু ঘেউ ঘেউ করলে হবে না, এবার কামড়াতে হবে। তবে ডিএ দেবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ঘেউ ঘেউ করবেন না। যা পরিস্থিতি এখন আর না কামড়ালে কিছু হবে না। এই রাজ্য নারী পাচারে এক নম্বর । বাংলার বাইরে রাজ্যের মেয়েদের পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। নিরপেক্ষ NGO-রাও একই কথা বলছে।’
কামদুনিকাণ্ড নিয়েও মুখ খুলেছেন সুকান্ত
কামদুনিকাণ্ডের রায় প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন সুকান্ত। তদন্তে গাফিলতি ও বিচার না পাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। রাজ্যে নারী নিরাপত্তা নেই বলে দাবি করেছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘কামদুনির মামলাতে দশ বার মুখ্যমন্ত্রী আইনজীবী বদল করেছেন। নিম্ন আদালতে যাদের ফাঁসির সাজা হয়েছিল তারা বেকসুর খালাস পেয়েছে। বিচারব্যবস্থায় এরকম রায় এলে কে ভয় করবে!’
শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও রাজ্য সরকারে কটাক্ষ
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। ইতিমধ্যে একাধিক রাজনীতিবিদ জেলে গিয়েছেন। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত জোরকদমে চলছে। এই অবস্থায় রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাটাই জেলে রয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জেলে গিয়েছেন আর বর্তমান যাবে যাবে করছেন। এখন দেখুন কতদিনে যায়’।
ডিএ নিয়ে ক্ষোভ সরকারি কর্মীদের
দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবি লড়াই করছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। কেন্দ্রীয় সরকার আরও ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করার পর কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে ডিএ-র ফারাক বেড়ে দাঁড়াল ৪০ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর আন্দোলন আরও জোরাল হাতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।