পর্যটকদের আনন্দ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়ে ইদানীং ক্যামেরায় ঘনঘন ধরা পড়ছে এক বাঘিনী ও তার দুই সন্তানের আনাগোনা। এমনিতেই সুন্দরবনে বেশ কয়েক বছর ধরে পর্যটন ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছিল। কয়েক বছরে উম্পুন, বুলবুল, ইয়াসের পাশাপাশি একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে নিম্নচাপ রীতিমতো বিপর্যস্ত করে তুলেছে বাদাবনকে। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলিও।
করোনার থাবা কাটিয়ে সুন্দরবন আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে। সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকে গত বছর প্রায় দু’লক্ষ পর্যটক এসেছিলেন। এ বার সেই সংখ্যা তিন লক্ষে পৌঁছতে পারে বলে আশা পর্যটন ব্যবসায়ী ও বন দফতরের। পর্যটকদের জলপথে ভ্রমণের জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত লঞ্চ ও যন্ত্র চালিত বোট রয়েছে ৮৫০টি। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অনুমতি নিয়ে দৈনিক ১২৫টি জলযানকে অনুমতি দেওয়া হয় ব্যাঘ্র প্রকল্পের সজনেখালি, সুধন্যখালি, দোবাঁকি, নেতিধোপানি, ঝিয়েখালি, বুড়িরডাবরি ও হরিখালিতে ঘোরার।
দৈনিক মাথাপিছু ১২০ টাকা ব্যয় করে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অনুমতিক্রমেই পর্যটকরা জলে ভেসে বেড়াতে পারবেন সুন্দরবনের জলে জঙ্গলে। গোসাবার পাখিরালা হোটেল ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জয়দেব খাটুয়া বলেন, ‘এ বার পুজোয় পাখিরালার ৬০টি হোটেল, লজ, রিসর্ট বা হোমস্টে ফাঁকা থাকবে না।’
আর এক হোটেল ব্যবসায়ী চন্দন বেরা বলেন, ‘ইতিমধ্যেই আমার হোটেলে সব ঘর বুকিং হয়ে গিয়েছে। তাদের অনেকেরই উত্তরবঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল।’ সুন্দরবন ট্যুরিস্ট ভুটভুটি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আমিরুল মিদ্দে বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের ২৯৪টি বোট ভালো ব্যবসা করবে।’
সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপ ক্ষেত্র অধিকর্তা জোন্স জাস্টিন বলেন, ‘ঘন ঘন বাঘের দেখা মিলছে এখানে। সেই বার্তা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।’