কিন্তু ২০২২-এর পর থেকে অভিষেক পুজোর উদ্বোধন করা বন্ধ করে দেন। এই বছরও পুজো উদ্বোধনের অনুরোধ করে তাঁর কাছে প্রচুর আমন্ত্রণপত্র এসেছে বলে জানিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। দ্বিতীয়া থেকে পঞ্চমী পর্যন্ত ডায়মন্ডহারবার লোকসভার অন্তর্গত বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে বস্ত্র বিতরণের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও কোনও পুজোর উদ্বোধন করেননি অভিষেক।
কেন তিনি গত বছর থেকে পুজোর উদ্বোধন করছেন না, তা নিয়ে তৃণমূলের যে নেতারা দুর্গাপুজো সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন, তাঁদের মনেও প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। অভিষেক নিজেই বৃহস্পতিবার সাতগাছিয়া ও বিষ্ণুপুরে বস্ত্রবিতরণের অনুষ্ঠানে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এ দিন বলেন, ‘আমি ২০২১ পর্যন্ত ডায়মন্ডহারবার লোকসভার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে দিনে ১৫-১৬টি করে পুজোর উদ্বোধন করেছি। এখন মহালয়ার পর থেকেই মানুষ ঠাকুর দেখতে রাস্তায় নেমে যায়। এবার আমি নিজেই জোকা-পৈলান পর্যন্ত ডায়মন্ডহারারবার রোডে মানুষের ঢল দেখেছি। যদি মহালয়ার পর থেকে পুজোর উদ্বোধন করতে যাই, তা হলে মানুষের কিছুটা অসুবিধা হয়। কারণ, আমরা গেলে রাস্তায় কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে।’
অভিষেক জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা পান। কোনও জেড ক্যাটেগরির ভিআইপি যখন রাজপথ দিয়ে যান, তখন নিরাপত্তার নির্দিষ্ট প্রোটোকল পুলিশ-প্রশাসনকে মানতে হয়। ভিআইপির যাত্রাপথে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষাপ্রাপ্ত কোনও ভিআইপি দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করতে গেলে সংশ্লিষ্ট মণ্ডপে বিশেষ পুলিশি বন্দোবস্ত করা হয়। ভিআইপি যে সময়ে আসবেন সেই সময়ে দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়। ফলে প্রতিমা দর্শনে যাওয়া জনতাকে উদ্বোধন-পর্ব না-মেটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
এই কারণে পুজো উদ্বোধনের বদলে প্রতিটি বিধানসভা অঞ্চলের বড় ময়দানে একটি করে সভার মাধ্যমে এবার জনসংযোগ করছেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘আগে আমি দ্বিতীয়া থেকে পুজো উদ্বোধন শুরু করে ষষ্ঠী পর্যন্ত উদ্বোধন করতাম। এখন ষষ্ঠীর আগেই মানুষের ঠাকুর দেখা হয়ে যাচ্ছে। তাই ব্লক নেতাদের বললাম, এই ভিড়ের মধ্যে আমরা যদি পুজো উদ্বোধন করতে যাই তাহলে মানুষকে অনেক বাধ্যবাধকতার মুখে পড়তে হয়। তাই প্রতিটি বিধানসভায় কেবল একটি করে সভার আয়োজন করুন।’