কী জানা হচ্ছে?
যখন থিমের দৌড়ে উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা টেক্কা দিতে ব্যস্ত তখন নিউ ব্যারাকপুর বিদ্রোহী স্পোর্টিং ক্লাবের ৩২ তম বর্ষে একটা গোটা ট্রেন সমেত স্টেশন উপহার দিল দর্শনার্থীদের। নিউ ব্যারাকপুরে কেন কাঁথি স্টেশন তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন থাকতে পারে। এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে রাজ্যের এক মন্ত্রীর প্রতি কৃতার্থ প্রদান বার্তা।
কেন এই থিম?
এই ক্লাবের কর্ণধার বঙ্কিম দাস জানান, উত্তর দমদমের বিধায়ক মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এর আগে কাঁথির বিধায়ক ছিলেন। বর্তমানে তিনি উত্তর দমদমের বিধায়ক। বিধায়ক হিসেবে কাঁথির সকল মানুষের হয়ে কাজ করেছেন। সকলকে ভালো রেখেছেন। এখন নিউ ব্যারাকপুর এর হয়ে কাজ করছেন। সেই কারণে কাঁথির মানুষকে নিয়ে এসেছেন নিউ ব্যারাকপুরে। নিউ ব্যারাকপুর স্টেশন ও কাঁথি স্টেশনকে মিলিয়ে দিল বিদ্রোহী স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে।
কেমন সাজানো থিম?
শিল্পীর নিখুঁত হাতের কাজে নিউ ব্যারাকপুর বিদ্রোহী স্পোর্টিং ক্লাবে গেলে দেখা যাবে সত্যি যেন দর্শনার্থীরা কাঁথি স্টেশনে চলে এসেছেন। একদিকে যেমন স্টেশন, টিকিট কাউন্টার, স্টেশনে বিভিন্ন খাবারের দোকান রয়েছে। আর স্টেশনে ঢুকলেই হাওড়া-দিঘা তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে আছে। যাত্রী নিয়ে ছাড়বার অপেক্ষায়। ট্রেন হর্ন দিচ্ছে। স্টেশনে এনাউন্সমেন্ট হচ্ছে, যাত্রীরা ট্রেনের ভিতরে সিটে বসে আছেন, অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
প্রতিমা কেমন?
এবার সকলের প্রশ্ন প্রতিমা কোথায় গেল? প্রতিমাকে রাখা হয়েছে স্টেশনের মধ্যেই। প্রতিমা রয়েছে স্টেশনের যাত্রী প্রতিক্ষালয়ে। প্রতিমা এখানে প্রতিবারের মত এবারও কৃষ্ণনগরের। যেমন থিম, তেমন প্রতিমা। সব মিলিয়ে মণ্ডপ ও প্রতিমা দর্শনে দর্শনার্থীদের ভিড় যে ছাপিয়ে যেতে চলেছে তা বলাই যায়।
দর্শনার্থীরা কী বলছেন?
নিউ ব্যারাকপুর ছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই মণ্ডপ দেখতে আসছেন সকলে। এক দর্শনার্থীর কথায়, ‘ আমি কোনোদিন কাঁথি স্টেশন যায়নি। কিন্তু এখানে এসে মণ্ডপ দেখে মনে হচ্ছে সত্যিই কাঁথি স্টেশনে চলে এসেছি। অপরূপ সুন্দর সাজিয়েছে এই মণ্ডপ।’ যদিও এরকম মণ্ডপ কেন করা হচ্ছে অনেক দর্শনার্থীর মনেই প্রশ্ন জাগছে। অনেকে মণ্ডপে উপস্থিত ক্লাবের সদস্যের জিজ্ঞাসাও করছেন সেই কথা।