শুরু প্রস্তুতি
জগৎ বিখ্যাত চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো। এই পুজো দেখার জন্য শুধু চন্দননগর নয় শহর ও শহরতলীর বহু মানুষ আসেন । বছরের এই সময়টা নব কলেবরে সেজে ওঠে চন্দননগর।বছর দুয়েক করোনা ও লকডাউনে পুজোর কিছুটা ছেদ পড়েছিল, কিন্তু এবার পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।তাই প্রচুর মানুষ সমাগম হবে ঐতিহ্যবাহী চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় । প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর তৎপরতা।এদিন বিকেলে চন্দননগরের রানিঘাট, জোড়া ঘাট সহ বেশ কয়েকটি ঘাট পরিদর্শন করলেন হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্য, চন্দননগর কমিশনারেটের কমিশনার অমিত পি জাভালগী, চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী সহ বিশিষ্টরা।
মেয়রের কথায়…
মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, জগদ্ধাত্রী পুজোয় লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে। তাই মানুষের যাতায়াতে যাতে অসুবিধা না হয় সে কারণেই সমস্ত ঘাট গুলিকে দেখা হচ্ছে। কর্পোরেশন থেকেও নো অবজেকশন দেওয়া হচ্ছে। চন্দননগরের ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজো সেটা যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জগদ্ধাত্রী পুজোয় অনেকেই লঞ্চে করে গঙ্গা পার হয়ে ঠাকুর দেখতে আসেন তাই তাদের কথা মাথায় রেখে কী ভাবে তাদের যাতায়াত আরও সুগম করা যায় তার প্রস্তুতি নেওয়া চলছে।
পুজো চলাকালীন আলোর মালায় সেজে ওঠে চন্দননগর। এখানকার লাইটের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। পুজো মণ্ডপের সঙ্গে সঙ্গে এখানের প্রতিটি মণ্ডপে লাইটের শো হচ্ছে সব থেকে আকর্ষণীয়। এই লাইটের খেলা দেখতেই জমে প্রচুর ভিড়। দুর্গাপুজোর মতোই আয়োজন, শোরগোল জগদ্ধাত্রী পুজোয় থাকে চন্দননগরে। এমনকী এই লাইট শোয়ের থিম দেখে পরের বছর দুর্গাপুজোতেও নামজাদা পুজো মণ্ডপগুলি সেই লাইট শোয়ের আয়োজন করে। তাই দুর্গাপুজোর আনন্দে মেতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রস্তুতি ব্যস্ত রাজ্যের এক কালের ফরাসী কলোনি।