কী জানা যাচ্ছে?
গাইঘাটা থানার অন্তর্গত বিষ্ণুপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে হেরোইন তৈরির সরঞ্জামসহ কারখানার হদিশ পায় STF বাহিনী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, এসটিএফ বাহিনী বৃহস্পতিবার সকালেই বিষ্ণুপুরে হানা দেয়। জানা যায়, ওই বাড়িতেই হেরোইন তৈরি হত দীর্ঘদিন ধরে। অভিযুক্ত কাকলি রায়ের তত্ত্বাবধানে বহিরাগত কিছু লোক রাজমিস্ত্রির ছদ্মবেশে বেশ কয়েকজন ওই বাড়িতে হেরোইন তৈরি করতে।
আর কী জানা যাচ্ছে?
নিষিদ্ধ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অভিজিৎ বিশ্বাস, তপন মণ্ডল ও ডলি সর্দার নামে আরও কয়েকজন ব্যক্তি। STF সূত্রে খবর, প্রায় কয়েক কোটি টাকার মাদক দ্রব্য ও তৈরির সরঞ্জাম তৈরি হয়েছে ওই বাড়ি থেকে। বাড়িতে হেরোইন তৈরি করার পর তা পাচার করা হতো ভিন রাজ্যে এবং বাংলাদেশে। বেশ কয়েক বছর ধরে এই কারবার চলে আসছিল বলে STF সূত্রে জানা গিয়েছে।
মাদক তৈরি করে বিপুল সম্পত্তি
কাজল রায়ের তত্ত্বাবধানে এই কারখানা চললেও এর পেছনে আরও বড় কোনও মাথা রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কোথায় মাদক দ্রব্য তৈরি কাঁচামাল মিলত, কী ভাবে পাচার হতো সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করছেন STF আধিকারিকরা। কারখানার সঙ্গে যুক্ত কারবারীদের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন STF আধিকারিকরা। ধৃতদের সেই সম্বন্ধে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পঞ্চায়েত প্রধান কী জানালেন?
সুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মিহির বিশ্বাস জানান, অভিযুক্ত কাকলি রায় বছর দেড়েক আগে হকারি করে জামাপ্যান্ট বিক্রি করতো। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘুণাক্ষরেও এদের এই কীর্তিকলাপ টের পায়নি। পুলিশ এখনও তদন্ত করে দেখছে। সকাল থেকে দীর্ঘক্ষণ ধরে প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করে চলেছে। এখনো পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।