কী ভাবে হচ্ছে কারচুপি?
অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই একসঙ্গে ৫-৬ জন বা ৭-৮ জন মিলে যাতায়াতের সময় সকলে টিকিট কাটছে না। নিয়ম অনুযায়ী প্ল্যাটফর্ম প্রবেশের সময় টোকেনটি নির্দিষ্ট জায়গায় স্পর্শ করাতে হয়। তবেই খোলে গেট। আবার বেরোনোর সময় সেই টোকেন নির্দিষ্টি জায়গায় দিয়ে দিতে হয়। তবেই গেট পার করা যায়। অভিযোগ, দল বেঁধে যাতায়াতের সময় অনেকেই এই জায়াগায় কারচুপি করছে। গেট বন্ধ হওয়ার আগেই একজনের সঙ্গে আর একজন দ্রুত সেখান দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ টোকেন জমা না দিয়েই প্ল্যাটফর্ম ছাড়ছে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষকে।
মেট্রোয় শুরু টিকিট চেকিং
এই অসাধু যাত্রীদের ধরতে তাই ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে মেট্রো। শুরু হয়েছে ধরপাকড়ও। তবে পুজোয় যেহেতু বাড়তি ভিড় থাকবে, তাই এই ধরণের কারচুপি আরও বাড়তে পারে বলেই করছে কর্তৃপক্ষ। তাই পুজোয় টিকিট চেকিং বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘আমরা মাঝেমধ্যেই লক্ষ্য করছি ৪টে টিকিট কেটে ৫ জন বেরিয়ে যাচ্ছে, বা ৫টা টিকিট কেটে ৬ জন বেরিয়ে যাচ্ছে। এই জিনিসগুলো আমাদের নজরে আসছিল। বিভিন্ন ধরণের অনৈতিক পদ্ধতি তারা অবলম্বন করছিল। তাই সেটা বন্ধ করার দরকার ছিল। আমরা সফলও হচ্ছি। যেটা এতদিন ধরে মেট্রোতে ছিল না, সেই টিকিট চেকিং মেট্রোতে করে আমরা সফল।’
পুজোয় আরও কড়াকড়ি
সিপিআরও জানাচ্ছেন, টিকিট ছাড়া ধরা পড়লে ২৫০ টাকা জরিমানা ও সঙ্গে যে দূরত্ব অতিক্রম করেছে, সেই ভাড়া দিতে হবে যাত্রীকে। এই বিষয়ে কৌশিক মিত্রের সাফ কথা, রোজ এই ধরণের চেকিং হচ্ছে, এবং পুজোর সময় আরও হবে।