Mahua Moitra Hiranandani : মহুয়া বিতর্কে ক্ষুব্ধ এখনও চুপ তৃণমূল, ‘ব্যস্ত আছি’ বলে এড়ালেন কুণাল – tmc reaction on mahua moitra hiranandani controversy


মহুয়া কাঁটায় বিদ্ধ তৃণমূল! উৎসব আবহের মাঝেও নদিয়ার ‘বিতর্কিত’ সাংসদকে চিন্তিত কালীঘাট? দলের শীর্ষ নেতৃত্ব মহুয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন ইতিমধ্যেই। দল নয়, ব্যক্তিগত সমস্যা বলেই বিষয়টিকে ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন সকলে। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও জানিয়ে দিয়েছেন, ‘মহুয়া মৈত্রের ব্যাপারে দলের কোনও বক্তব্য নেই। কোনও প্রতিক্রিয়া জানাব না।’

বিরক্ত কালীঘাট?

প্রশ্ন উঠেছে, লোকসভায় ‘বিতর্কিত’ সাংসদকে নিয়ে দলের এখন কোনও প্রতিক্রিয়া নেই, নাকি নিজের সমস্যা নিজেকেই মেটাতে হবে – এরকমই রাস্তায় চলতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে। দলের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব, সাংসদরা চরম ব্যস্ত বাংলার দুর্গোৎসব নিয়ে। এর মাঝে কেউই মহুয়া বিতর্ক গায়ে মাখতে চাইছেন না। দলনেত্রীর নির্দেশ ছাড়া কেউই প্রকাশ্যে মন্তব্য করে জ্বলন্ত বিতর্কে ঘি ঢালতে রাজি নয়।

দলের শীর্ষ নেতৃত্ব চুপ

যদিও, দলের আরেকাংশের দাবি মহুয়া মৈত্রের সাম্প্রতিক বিতর্ক নিয়ে বিরক্ত কালীঘাট। ইন্ডিয়া জোট গড়ে বিজেপি সরকারের উপর লোকসভা নির্বাচনের আগে চাপ বাড়ানোর মাঝেই এই বিতর্কে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে দলকে। বিশেষ করে, জাতীয় স্তরে দলকে ‘জবাবদিহি’ করতে হবে বলেও মনে করছেন অনেকে। সে কারণেই, মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে যাতে বিতর্ক দলের গায়ে এসে না লাগে, সে ব্যাপারে ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়েছে ঘাসফুল শিবির।

কী অভিযোগ মহুয়ার বিরুদ্ধে?

লোকসভার BJP সাংসদ নিশিকান্ত দুবে সম্প্রতি তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের নামে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন। তাঁর দাবি, ‘হিরানন্দানি গ্রুপ’-কে তিনি তাঁর লোকসভার ওয়েবসাইটের লগ ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন। এমনকি, অর্থের বিনিময়ে ব্যবসায়িক স্বার্থে মহুয়া লোকসভায় কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

Mahua Moitra On Hiranandani Allegations : ‘প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে…’, পালটা বিস্ফোরক অভিযোগ মহুয়ার
মহুয়া কী জানিয়েছেন?

যদিও, সম্প্রতি মহুয়া মৈত্র তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, ‘আমি সিবিআই এবং এথিক্স কমিটির (যেটিতে বিজেপির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য আছে) প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত। যদি তারা আমাকে ফোন করে। তবে আদানি-নির্দেশিত মিডিয়া সার্কাস ট্রায়াল বা বিজেপি ট্রোলারদের উত্তর দেওয়ার জন্য আমার সময় বা আগ্রহ নেই।’ উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে লোকসভার এথিক্স কমিটির কাছে ‘হিরানন্দানি গ্রুপ’ হলফনামা জমা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান বিনোদ সোনকর পুরো বিষয়টি সত্যতা আছে কিনা পরীক্ষা করা হবে বলে সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে মত প্রকাশ করেছেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *