দার্জিলিংয়েও যে পর্যটকদের ভিড় খুব বেশি এমন নয়। ডুয়ার্সেও অর্ধেক হোটেল খালি পড়ে রয়েছে। লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব বলেন, ‘সিকিমের ঘটনায় বুকিং বাড়েনি। বরং সামান্য হলেও কমেছে।’ একই পরিস্থিতি বাগডোগরা বিমান বন্দরেও। পর্যটকেরা পুজোর মরশুমে যে উত্তরবঙ্গ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তার সবচেয়ে বড় লক্ষণ হলো, কলকাতাগামী বিমান ভাড়া ক্রমশ নামছে।
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘বেশির ভাগ পর্যটক সিকিম, দার্জিলিং ও ডুয়ার্স মিলিয়ে বেড়াতে আসেন। এখন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক না-খোলায় পর্যটকদের সিকিম যেতে লাভা হয়ে ঘুরপথ ধরতে হবে। ভাড়া বেশি পড়বে। ফলে পর্যটকেরা এ বার পুজোয় উত্তরবঙ্গকে যে এড়িয়ে যেতে চাইবেন, সেটাই স্বাভাবিক। আমরা চেষ্টা করছি, পর্যটকেরা যাতে বুকিং বাতিল না-করে পিছিয়ে দেন। সেটা কতটা সফল হবে তা এখনও বলা সম্ভব নয়।’
কালিম্পংয়ের জেলাশাসক সুব্রহ্ম্যনিয়ম টি বলেন, ‘গেইলখোলা হয়ে ছোট গাড়ি যাতায়াতের জন্য ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক প্রস্তুত। কিন্তু পূর্ত দফতর যে অংশে মেরামতি করেছে, সেখানে গাড়ি চলাচলের এখনও অনুমতি মেলেনি। তবে দু’একদিনের মধ্যেই অনুমতি মিলতে পারে বলে আশা করছি।’
গত ৪ অক্টোবরে সিকিমের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরেই এ বার পুজোয় পর্যটন ব্যবসায় এই সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। ওই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বেহাল হয়ে পড়ে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। পুজোর মুখে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বিপদ বুঝে সিকিম ও বাংলার পূর্ত দফতর দ্রুত রাস্তা মেরামতির কাজে নামে।
প্রথমে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করে সিকিম থেকে দ্রুত বার করে দিতে উদ্যোগী হলেও পরে অবস্থান বদলে নিয়ে জানায়, কেবলমাত্র উত্তর সিকিমেই পর্যটকেরা যেতে পারবেন না। সিকিমের অন্য সমস্ত এলাকায় পর্যটকেরা স্বাগত। কিন্তু ততক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। সিকিম থেকে পর্যটকেরা ফিরে আসছেন দেখে বহু পর্যটক বুকিং বাতিল করতে শুরু করেন।