পুলিশ সূত্রে কী জানা যাচ্ছে?
পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভির সূত্রে ধরে সোনারপুরে সোনার দোকানের ডাকাতির কিনারা করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার ৬। ধৃতদের মধ্যে একজন স্বর্ণব্যবসায়ী আছে। উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র ও লাইভ কার্তুজ। ৪০ ভরি সোনার গয়না ও ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত দুটি মোটর বাইকও বাজেয়াপ্ত করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ।
কী ঘটনা ঘটেছিল?
শুক্রবার ভর সন্ধ্যায় সোনারপুরের বারেন্দ্রপাড়ায় সোনার দোকানে ঢুকে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। রিভালবার দিয়ে দোকান মালিকের মাথায় মেরে দোকান লুঠ করে পালায় দুষ্কৃতীরা। এমনকি ডাকাতির সময় গুলি চালানো হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ও উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। অপরাধীরা ধরা না পরায় সোনারপুর থানায় বিক্ষোভও দেখায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।
পুলিশ সুপার কী জানালেন?
বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালি জানান, ঘটনার পর থেকে জেলা জুড়ে পুলিশের সমস্ত বিভাগ এই ঘটনায় তৎপর ছিল। সমস্ত থানার ওসি ও আইসিরাও বিষয়টি খতিয়ে দেখছিলেন বলে জানান তিনি। ৪০ গ্রাম সোনা, ১০০ গ্রাম রুপোর গয়না ও নগদ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। অভিযুক্তদের সোনারপুর ও কুলতলি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আতঙ্কিত ছিল স্থানীয়রা
পুজোর মুখেই এরকম ঘটনায় আতঙ্কিত ছিল স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়রা জানান, ডাকাতি করে পালানোর সময় এক অটোচালক তাদের আটকানোর চেষ্টা করেছিল। সেই সময় শূন্যে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। জনবহুল এলাকার মাঝে এরকম গুলি চালনার ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সোনার দোকানে ডাকাতি
গত কয়েক মাসের মধ্যে একের পর এক ডাকাতির ঘটনা ঘটে চলেছে একাধিক জেলায়। কিছুদিন আগেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় খড়গপুরের কাছে একটি দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। গোলবাজারের একটি সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনার খবর পাওয়া যায়। এর আগে ব্যারাকপুরে সিংহ পরিবারের সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। ডাকাতি করার সময় দোকানের মালিকের এক ছেলেকে গুলিবিদ্ধ করে দুষ্কৃতীরা। পরে মৃত্যু হয় ওই যুবকের।