WB School Teacher Recruitment : ‘এ’ না ‘বি’ ক্যাটিগরির, নিয়োগের ১৭ বছর পর প্রশ্নে ধন্দে শিক্ষকরা – west bengal primary school teacher in question for a or b category


স্নেহাশিস নিয়োগী

পুজোর মুখে জেলায়-জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকদের (ডিআই-প্রাথমিক) পাঠানো স্কুলশিক্ষা ডিরেক্টরেটের এক যুগ্ম অধিকর্তার গত সপ্তাহের চিঠি নিয়ে শোরগোল পড়েছে। ১১ অক্টোবরের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে–এক বছরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যে সব প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা ২০০৬ সালে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন, তাঁরা ‘এ’ ক্যাটিগরির শিক্ষক কিনা, সে ব্যাপারে অবিলম্বে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট জমা দিতে হবে। না হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষিকারা ‘বি’ ক্যাটিগরি হিসেবেই গণ্য হবেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ বা কর্মবিনিয়োগ কেন্দ্রের পাঠানো নামের তালিকা অনুসারে। প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং (পিটিটিআই) বা প্রশিক্ষণ থাকা ১৫-১৬ হাজার প্রার্থী চাকরি পেয়েছিলেন। তার সাত বছর পর ২০১৩ সালের ৪ মার্চ স্কুলশিক্ষা দপ্তরের এক যুগ্মসচিব নির্দেশিকায় জানান, ২০০৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর এক বছরের প্রশিক্ষণ নিয়ে যাঁরা প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন, তাঁদের দু’বছরের প্রশিক্ষণ লাগবে।

সেই মতো ২০০৬ সালে নিযুক্ত এক বছরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের পর্ষদ আরও এক বছরের প্রশিক্ষণ দেয় ২০১৪ সালে। এর পরেই শুরু হয় মূল বিতর্ক।
ওই শিক্ষক-শিক্ষিকারা ২০০৬ সালে যখন নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন, তখন তাঁরা ‘এ’ ক্যাটিগরি হিসেবেই চিহ্নিত হয়েছিলেন। কিন্তু পরে ২০১৩ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী তাঁদের আরও এক বছরের ট্রেনিং দেওয়ার অর্ডারে বলা হয়, তাঁরা যে সময়ে দু’বছরের ট্রেনিং শেষ করে রেজাল্ট পাবেন, তখন থেকে তাঁরা ‘এ’ ক্যাটিগরির বলে গণ্য হবেন।

সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকারা পড়েন প্রবল সমস্যায়। কারণ, তাঁরা প্রায় আট বছর ধরে ‘এ’ ক্যাটিগরির যে বেনিফিট পেয়েছেন, আর্থিক হিসেবে টাকার পরিমাণে তা লক্ষাধিক। নিয়োগের ১৭ বছর পর এখন আবার বিভিন্ন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের (ডিপিএসসি) তরফে এই সব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ২০০৬-২০১৪ অবধি আট বছরে ‘এ’ ক্যাটিগরির হিসেবে পাওয়া অতিরিক্ত বেতন ফেরত দিতে বলা হচ্ছে। বিপুল অর্থ ফেরত দিতে হলে তা ভীষণই সমস্যার বলে জানাচ্ছেন ওই শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

WB School Teacher Recruitment: রাজ্য়ের স্কুলে শিক্ষক সংকট মেটাতে নয়া পদক্ষেপ! চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের ভাবনা
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ভীমসেন বিশওয়াল বলেন, ‘এই ভুল-ত্রুটির জন্যে শিক্ষক-শিক্ষিকারা কোনও ভাবেই দায়ী নন। তাই তাঁদের থেকে অর্থ ফেরতের ব্যাপারটা সরকার সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করে মকুব করুক। শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাতে উপকৃত হবেন।’ যদিও বিকাশ ভবনের প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের এক কর্তা জানান, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশনের (এনসিটিই) নির্ধারতি কাট অফ ডেটের পর এক বছরের প্রশিক্ষণ ও উচ্চমাধ্যমিকে ৫০ শতাংশের কম নম্বর পেয়ে যে সব শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগপত্র পেয়েছেন, তাঁরা ‘বি’ ক্যাটিগরির শিক্ষক হিসেবেই গণ্য হবেন।

এমনকী প্রধান শিক্ষকও হতে পারবেন না। কিন্তু ইতিমধ্যে অনেকে প্রধান শিক্ষক হয়েছেন। এত বছর পর বিকাশ ভবনের তৎপরতায় প্রশ্ন উঠেছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *