রাজ্যের উপকূলের জেলাগুলিতে বাড়বে বৃষ্টিপাত। দশমী থেকে দ্বাদশী পর্যন্ত দুর্যোগ বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গে। দশমী ও একাদশী মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যাঁরা এই মুহূর্তে সমুদ্রে রয়েছেন তাঁদের নবমী রাতের মধ্যে ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ থেকেই বৃষ্টি!
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, অষ্টমী পর্যন্ত রাজ্যে উত্তর পশ্চিমের শীতল হাওয়ার প্রভাব থাকবে। রবিবার পর্যন্ত পরিষ্কার থাকবে আকাশ। বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে সোমবার থেকে হাওয়া বদল হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে।
সোমবার অর্থাৎ নবমীর দিন উপকূলের জেলায় আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা। রয়েছে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। দশমীর দিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলের জেলাগুলিতে হালকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
পুজোর মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছিল নিম্নচাপ এবং তা ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। অষ্টমীতে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এরপর শক্তি বাড়িয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে তা গতিপথ বদল করতে পারে। আপাতত আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন এর অভিমুখ হতে পারে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন উপকূল।
এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় কিনা সেই দিকে নজর রাখা হচ্ছে। তা বাংলাদেশের পশ্চিমভাগে না পূর্বভাগে যাচ্ছে তার উপর বাংলায় ঝড়-বৃষ্টির পরিমাণ নির্ভর করবে। এই নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণা বাতাসে ভর করে জলীয় বাষ্প ঢুকবে রাজ্যে।
নবমীর দিন থেকে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের পরোক্ষ প্রভাব পড়বে বাংলা। নবমী এবং দশমী কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। নবমীর বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই মুড বদলাবে আবহাওয়া। রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
দশমীর পরও রাজ্যের আবহাওয়ার পরিস্থিতি কিছুটা একইরকম থাকবে। দ্বাদশীতে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা। এদিন পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়ায় হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে উত্তরবঙ্গে আপাতত বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই।