এসএসসি : সপ্তমীতেও চাকরি চেয়ে ধরনায় টেট উত্তীর্ণরা, মঞ্চে পৌঁছে বিশেষ বার্তা সেলিমের – cpim leader md salim visited at ssc protest mancha in dharmatala


কয়েকদিন বাদেই তাঁদের পাশ দিয়ে যাবে কলকাতার শ্রেষ্ঠ পুজো মণ্ডপগুলির শোভাযাত্রা। তার আগে সপ্তমীর বিকেলে ফুরফুরে মেজাজে মণ্ডপ দর্শনে বেরিয়েছে দর্শনার্থীরা। ধর্মতলায় থিকথিকে ভিড়। তার এক কোণেই নিজেদের অধিকারের দাবিতে অনড় অবস্থান চাকরি প্রার্থীদের। চাকরি প্রার্থীদের মঞ্চে গিয়ে এদিন হাজির হলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

কী জানালেন সেলিম?

এদিন চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন সেলিম। তাঁদের বর্তমান অনুষ্ঠানের কথা জানতে চান। বাংলায় যে চাকরি নেই, সেই আওয়াজ চাকরি প্রার্থীদের সামনে আরেকবার তুলে ধরেন তিনি। এমনকি, চাকরি প্রার্থীদের এই আন্দোলনে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিআইএফওয়াই সর্বতভাবে পাশে আছে বলেও জানিয়ে আসেন তিনি।

সব মঞ্চকে একজোট

শনিবার বেলা সওয়া তিনটে নাগাদ মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির অনশনরত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করেন সেলিম। তিনি জানান, ভিন্ন ভিন্ন পরীক্ষার্থীরা আলাদা দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছেন। তাঁদের আগে একজোট হতে হবে। আন্দোলনকারীদের কাছে তাঁর যুক্তি, একজোট হয়ে চাকরি প্রার্থীরা আন্দোলন করলে সেই আন্দোলন আরও মজবুত হবে।

চাকরি প্রার্থীরা কী জানালেন?

চাকরি প্রার্থীরা সেলিমকে পেয়ে এদিন জানান, আমাদের আরও একটি পুজো এমনভাবেই কেটে গেল। বছর বছর এভাবে আন্দোলন চালিয়ে খুবই মুশকিল। কিন্তু সরকার আমাদের দিকটি একবার ভেবে দেখছেন না। পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেও আমাদের এভাবে বসে থাকতে হচ্ছে। দল মত নির্বিশেষে তাঁদের সবাই মিলে সমর্থন করুক এমনটাই আবেদন করেন চাকরি প্রার্থীরা।

WB Teacher Recruitment : কবে ভাইভা! ধন্দে চাকরিপ্রার্থীরা, প্রশ্নে সিএসসি
শনিবার উচ্চ প্রাথমিক, এসএসসি গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, এসএলএসটি-সহ একাধিক চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চে যান সেলিম। সকলের সঙ্গে গিয়েই দেখা করেন। তাঁদের দাবি দাওয়ার কথা শোনেন। আগামী দিনে তাঁদের দল এবং যুব সংগঠন পাশে থাকবে এবং নিয়োগের দাবিতে আরও সক্রিয় হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
এদিন চাকরি প্রার্থীরা জানান, এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে সরকারি স্কুল উঠে যাবে। একাধিক সরকারি স্কুল গুলিতে ছাত্রের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যাবস্থা আরও নিচের দিকে নামছে। পুজোর মুখেও তাঁদের মুখে হাসি নেই। পরিবারকে ফেলে রেখে তাঁরা রাস্তায় এসে আন্দোলন করছেন। এরকমভাবে আর কতদিন চলতে পারে? প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *