কোথায় কত ভিড়?
কলকাতা দুর্গাপুজো ২০২৩ এ সবথেকে আকর্ষণীয় প্রযুক্তি এনেছে কলকাতা পুলিশ। আপনি একটি পুজো মণ্ডপে গিয়ে কতক্ষণের জন্য লাইনে দাঁড়াবেন, কতক্ষণ দাঁড়ালে আপনার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে তা জানিয়ে দিচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। ফেসবুক খুলে শেষ আপডেট দেখে নিয়েই প্ল্যান করতে পারবেন কোন মণ্ডপে আগে যাবেন? বা, কোন মণ্ডপ দর্শন আজকের তালিকা থেকে বাদ দেবেন।
Q Time কী জানাচ্ছে?
সপ্তমীর সন্ধ্যা থেকে কলকাতার সমস্ত বিগ বাজেটের পুজোগুলোতেই জনসমুদ্র। টালা প্রত্যয় থেকে দেশপ্রিয় পার্ক, সুরুচি থেকে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার কোনও জায়গাতেই তিল ধারণের জায়গা নেই। সন্ধ্যা আটটাতেই সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোতে প্রতিমা দর্শন করতে ৫২ মিনিট থেকে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগছে বলে জানাচ্ছে Kolkata Police Q Time।
উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রতিযোগিতা
খুব পিছিয়ে নেই সুরুচি সংঘ। সেখানেও প্রতিমা দর্শন করতে সময় লাগছে প্রায় ৪০ মিনিট। এর পেছনের সারিতেই রয়েছে সিংহী পার্ক, টালা প্রত্যয়, দেশপ্রিয় পার্ক, ত্রিধারা, চেতলা অগ্রণী ক্লাব। ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগছে প্রত্যেকটি মণ্ডপেই। কিছুটা পিছিয়ে নাকতলা উদয়ন সংঘ, বাগবাজার সর্বজনীন এর পুজো।
উত্তর থেকে দক্ষিণ একাধিক পুজোতে সপ্তমীর রাতে সন্ধ্যা আটটার পর থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, পুজোর ভিড়ের কারণে সেন্ট্রাল এভিনিউ থেকে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট বন্ধ করে দেওয়া হয় সন্ধায় পর। অন্যদিকে, শোভাবাজার স্ট্রিট, টালা ব্রিজ এবং দক্ষিণে চেতলার পুজোর জন্য নিউ আলিপুর চত্বরে ট্রাফিকের চাপ বাড়তে থাকে, যত রাত গিয়েছে।
বিশেষ ব্যবস্থা কলকাতা পুলিশের
ভিড় সামলাতে এবার কলকাতা পুলিশের তরফে অতিরিক্ত বাহিনী কাজে লাগানো হচ্ছে। কলকাতার রাস্তায় এবার প্রায় ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নামানো হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার পাঁচ হাজার অতিরিক্ত স্বেচ্ছাসেবক কাজে লাগানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এমনিতেই, ইউনেস্কো স্বীকৃতির পর থেকেই কলকাতার পুজো নিয়ে বিদেশিদের উন্মাদনা বেড়েছে। এবার কলকাতার পুজোতে বিদেশিদের আগমন আরও বাড়বে বলেই অনুমান করা হয়েছিল।