Pranab Mukherjee : আদরের ‘পল্টু’ নেই! মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজোয় হারিয়েছে সেই জৌলুস – pranab mukherjee residence durga puja maintaining old tradition


বছর ঘুরে আবার বাপের বাড়ি ফিরেছেন উমা। নিয়ম মেনে হচ্ছে পুজো। হচ্ছে চণ্ডীপাঠ। কিন্তু যাঁর চণ্ডীপাঠের জন্য অপেক্ষা করে থাকতেন সবাই, বাড়ির সেই মানুষটাই নেই। ৪ বছর আগে সবাইকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন বাড়ির ছেলে। প্রণব মুখোপাধ্যায় দেশের একমাত্র বাঙালি রাষ্ট্রপতির পুজোয় আজ বড় অভাব বাড়ির ছেলেটার।

প্রয়াত হন প্রণব

সালটা ২০২০। ৩১ আগস্ট হঠাৎ টিভির পর্দায় খবর ভেসে ওঠে প্রয়াত হয়েছেন বাঙালি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। এই ভাবে তাঁকে ছাড়াই ৪ বছর পুজো হচ্ছে বীরভূমের মিরিটির মুখোপাধ্যায় ভবনে। পুজোর ৪ দিন হাজার ব্যাস্ততার মাঝে তিনি কাটাতেন বাড়িতে। নিষ্ঠার সঙ্গে পরিপাটি করে পুজোর চার দিন পুজো করতেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি।

পুজোতে সাজ সাজ রব

পুজোর এক মাস আগে থেকেই সেজে উঠত বাড়ি উঠন, শুরু হতো ভিআইপিদের আনাগোনা। পুজোর চার দিন গমগম করত কীর্ণাহারের এর এই বাড়ি।‌ বাড়ির ভিতরেই রয়েছে দুর্গা মন্দির। সেখানেই পুজো করতেন প্রণব মুখোপাধ্যায় পুজো এখনো হয় তবে সেই জৌলুস আর নেই। যাঁর চন্ডিপাঠ শোনার জন্য গোটা একটা বছর অপেক্ষা করে থাকতো গ্রামের মানুষ। তাঁকে ছাড়াই আজও হচ্ছে চণ্ডীপাঠ।

আদরের পল্টু নেই

গ্রামের মানুষেরা অনুভব করেন এই চন্ডিপাঠ এর মধ্যেই এখনো বেঁচে রয়েছেন গ্রামের সবার আদরের পল্টু (প্রণব মুখোপাধ্যায়)। পরনে সাদা ধুতি গায়ের পাটবস্ত উত্তরীয় সপ্তমী সকালে কলা বউ স্নান থেকে শুরু করে অষ্টমীর চণ্ডীপাঠের মধ্যে এখনও সবাই চোখে হারায় পল্টুকে।

১২৯ বছরের পুজো

১৮৯৬ সালে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ঠাকুরদা তারকনাথ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে মুখোপাধ্যায় ভবনে দুর্গাপুজো শুরু হয়। একটা সময় নিজের কাঁধেই এই পুজো দায়িত্ব তুলে নেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। বংশ পরম্পরায় উমা বন্দনা চলে আসছে। এবছর ১২৯ বছরে পা দিল এই পুজো।

Durga Puja 2023 : মেয়ের সাধ পূরণ, মাত্র ৩০ সেন্টিমিটারের দুর্গা ঠাকুর গড়লেন অনুব্রতর ভাইপো
কী বললেন পুত্র

প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায় পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় জানালেন, অবশ্যই বাড়ির যিনি প্রধান কর্তা ছিলেন, তিনি আজ নেই। আসল মানুষটাই নেই। তিনি বলেন, ‘ বাবা চণ্ডী পাঠ করতেন। ১৯ সালে অসুস্থতার জন্য আর করতে পারেননি। সেই বছর থেকে চিরাচরিত রীতি ভেঙে যায়।’ তিনি জানালেন, আমি যেহেতু চণ্ডী পাঠ শিখিনি বা অতটা ভালো করতে পারব না, সেই কারণে এখন বাড়ির পুরোহিতমশাই চণ্ডী পাঠ করে থাকেন। তবে পুরনো রীতি মেনেই পুজো হয়ে আসছে বলে জানান তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *