জয়তারা উৎসব
দুর্গাপুজোর মহা অষ্টমীর সন্ধিক্ষণে বলিদান হওয়ার পর বীরভূম জেলার দুবরাজপুর শহরে একটি ব্যতিক্রমী উৎসব ‘জয়তারা’ অনুষ্ঠিত হয়। এই দিনটার জন্য মুখিয়ে থাকেন দুবরাজপুরের মানুষেরা। এই উৎসব বহুদিনের প্রাচীন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে অষ্টমীর বলি শেষ হতেই এখানে কিশোর, যুবরা তরোয়াল, বল্লম, দাঁ এমন নানা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জয়োল্লাস করে শোভাযাত্রা নিয়ে দুবরাজপুর শহর পরিক্রমা করে।
কেমন হয় শোভাযাত্রা
দুবরাজপুর বিভিন্ন পাড়া থেকে বের হয় এই জয়তারা। দুবরাজপুর শহরে প্রায় ৪০টি দুর্গা পুজো হয়। তাই প্রতিটি দুর্গাপুজো মণ্ডপ থেকে জয়তারা বের হয়। তারপর এই জয়তারা বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে যায়। গোটা দুবরাজপুর শহর পরিক্রমা করে জয়তারা। তা দেখার জন্য বহু মানুষেরা ভিড় জমান।
কী বললেন পুর প্রধান
দুবরাজপুর পুরসভার পুর প্রধান পীযূষ পাণ্ডে জানান, প্রতি বছরের মতো এবছরও অষ্টমীর পুজোর পর বলি হল। তারপর শুরু হয় জয়তারা অনুষ্ঠান। কত দিন ধরে হয়ে আসছে এটা আমাদের অজানা। কারন আমরা ছোট থেকেই দেখছি। কথিত আছে, মা দুর্গা অসুরকুলকে নিধন করে দেবতারা জয়োল্লাস করে। সেটা আজও চিরাচরিত ভাবে হয়ে আসছে দুবরাজপুরে। এক কথায় অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠা করাই হচ্ছে জয়তারা উৎসব। বহু দূর দূরান্ত থেকে মানুষজন জয়তারা দেখতে আসেন এখানে।
মহাষ্টমী-মহানবমীর সন্ধিক্ষণে মহাষ্টমীর বলিদান শেষ হওয়ার পর এই জয়তারা শোভাযাত্রা শুরু হয়। এলাকার সকল মানুষ এই উৎসবে মেতে ওঠেন। এই শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। স্থানীয় খুদে থেকে বয়স্করা এই উৎসবে সামিল হন। জয়তারা শোভাযাত্রা দেখতে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন। পুলিশের নজরদারিতে শান্তিপূর্ণ ভাবেই এদিনের জয়তারা উৎসব পালিত হয়।