উল্লেখ্য, সারাবছরই তৎপরতার সঙ্গে শহরের যানচলাচল ব্যবস্থা স্বাভাবিক ছন্দে রাখার চেষ্টা করেন কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ কর্মীর। পুজোর সময় যেহেতু রাস্তাঘাটে মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা আরও অনেকটাই বেড়ে যায়, তাই এইসময় আরও বেশি করে সক্রিয় হয়ে ওঠো কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। যানচলাচলের ক্ষেত্রে কোথাও যাতে কোনও ধরণের সমস্যা তৈরি না হয়, সেদিকে সদাসতর্ক নজর থাকে লালবাজার ট্রাফিক কন্ট্রোলের।
মানুষের উদ্দেশে সচেতনতা
মানুষ যাতে নিয়ম মেনে রাস্তাঘাটে হাঁটাচলা করেন এবং গাড়ি চালান, সেই বিষয়েও সবসময় সতর্ক করা হয় ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে। মহালয়ার পর থেকেই কলকাতার রাস্তায় কার্যত জনস্রোত দেখা যায়। নবমীর সকালেও যা অব্যাহত। যদিও কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ জানাচ্ছে, মহানবমীর দিন এখনও পর্যন্ত শহর কলকাতার যান চলাচল স্বাভাবিকই রয়েছে। কোথাও কোনওরকম দুর্ঘটানরা খবরও নেই। শহররে বড় পুজো মণ্ডপগুলির সামনে যাতে যানজট তৈরি না হয়, বা যান চলাচলের ক্ষেত্রে কোনওরকম বাধা সৃষ্টি না হয়, তার জন্য বিশেষ বিশেষ জায়গায় রয়েছে বাড়তি পুলিশকর্মী।
ট্রাফিক আইন ভাঙলে জরিমানা
অন্যদিকে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করলেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চলছে ধরপাকড় ও জরিমানা। তবে শহরে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে সপ্তমী বা অষ্টমীর রাতে রীতিমতো ট্রাফিকের চাপ দেখা গিয়েছে। যেমন দক্ষিণ কলকাতার চেতলা, নিউ আলিপুর, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ বা উত্তর কলকাতার টালা, হাতিবাগান, শ্যামবাজারের মতো জায়গাগুলি কার্যত জনসমুদ্রের আকার নেয়।
আজ আরও ভিড়ের সম্ভাবনা
আজ যেহেতু উৎসবের শেষ দিন, তাই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় আরও ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে রয়েছে যানজট সৃষ্টিরও আশঙ্কা। যদিও সাধারণ মানুষ যাতে ঠাকুর দেখতে যাওয়া বা ঠাকুর দেখে নির্ঝঞ্ঝাটে বাড়ি ফিরতে পারেন, তার জন্য বিশেষ বাস পরিষেবা রেখেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। একইসঙ্গে রাতভর পরিষেবা চালু রেখেছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষও।