স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় বাইকে চেপে একই বাড়ির তিন যুবক ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেল। সেই সময় বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শেরপুর মোড়ের কাছে রাস্তার পাশের একটি গাছে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় বিলাস মণ্ডল ও অভিজিৎ বিশ্বাসের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিমাই মণ্ডলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর, সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উস্তি থানার পুলিশ। দেহগুলিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
অটো-বাইকের সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন
অন্যদিকে অষ্টমীর রাতেই ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে অটো ও বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত হলেন বেশ কয়েকজন। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনাপ রঘুনাথপুরে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে রঘুনাথপুর এলাকার বেশ কয়েকজন একসঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। সেই সময়ই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। বাইক ও অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ একটি বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে বাইকে। যার জেরে রাস্তার উলটে যায় অটোটি। ঘটনায় উভয় পক্ষেরই বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে জিরানগাছা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চারজনকে আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এদিকে খবর পেয়ে তড়ঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কাশিপুর থানার পুলিশ। কী ভাবে হল এই দুর্ঘটনা, সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
হাওড়াতেও দুর্ঘটনায় যুবতীর মৃত্যু
অন্যদিকে প্রায় একই ধরণের ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে। বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে বাইক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু এক যুবতীর। নবমীর ভোররাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে কোনা এক্সপ্রেস ওয়ের মৌখালীতে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে বাইক আরোহীদের মাথায় কোনও হেলমেট ছিল না।
জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে বেশ কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন হাওড়ার শিবপুরের মন্দিরতলার বাসিন্দা ওই যুবতী তনুপর্ণা দাস। তিনি তাঁর বন্ধুর বাইকের পিছনে বসেছিলেন। মাথায় হেলমেট ছিল না। ভোররাতে বাইকটি যখন কোনা এক্সপ্রেস ধরে সাঁতরাগাছি থেকে নিবরার দিকে যাচ্ছিল সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গার্ড রেলে ধাক্কা মারে। এর ফলে বাইকের পিছনে থাকা তনুপর্ণা ছিটকে পড়েন রাস্তায়। সেই সময় পিছন থেকে আসা একটি লরি পিষে দেয় তাঁকে। আহত অবস্থায় তাঁকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।