কী ঘটেছে ঘটনা?
বনগাঁর নহাটা বাজারের কাছে পুজোর জন্য স্টল দিয়েছেন কিছু স্থানীয় যুবক-যুবতীরা। অন্যান্য স্টলের মতোই তাঁরা নানা মুখরোচক খাবার বিক্রি করছেন তাঁদের স্টলে। তবে অন্যান্যদের থেকে তাঁরা কিছুটা আলাদা। শিক্ষিত হয়েও বেকারত্বের কারণে তাঁরা এই পথ বেছে নিয়েছেন এবং পুজোয় স্টল দিয়ে রাজ্যের বেকারত্বের প্রতিবাদ জানাতেই এমন ব্যবস্থা বলে মত উদ্যোক্তাদের।
ব্যানার লাগিয়ে প্রতিবাদ
মেধা সম্পন্ন শিক্ষিত কর্মহীন চাকরিপ্রার্থীগণ রীতিমতো পোস্টারিং করে ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়ে চপ সিঙ্গারা ঘুগনি বিক্রি করছেন। পুজোর কদিন অর্থাৎ ষষ্ঠী থেকে নবমীর দিন পর্যন্ত সেই চিত্র ধরা পড়ল বনগাঁর নহাটা বাজারে। রীতিমত হুলস্থুল কাণ্ড এলাকায়। বেকার যুবক যুবতীদের এই অভিনব প্রতিবাদকে ঘিরে চর্চায় প্রত্যেকেই।
কী বলছেন তাঁরা?
এক বিক্রেতা আরিফুল মণ্ডল বলেন, ‘ আমাদের রাজ্যে চাকরির কোনও শূন্যপদ নেই। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন চপ শিল্প দেশের জন্য একটা বড় শিল্প হতে পারে। তাঁর কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা এই স্টল দিয়েছি।’ আরেক বিক্রেতা দেবাশিস নাথ বলেন, ‘ এটা আমাদের কাছে খুব লজ্জার। শিক্ষিত হয়েও আমরা আজ এভাবে চপের স্টল দিয়েছি। রাজ্যে যে চাকরির কী অবস্থা সেটা সকলে জানে। সেটারই প্রতীকী প্রতিবাদ করতে আমরা আজকে এই আয়োজন করেছি।’
এর আগেও বেকারত্বের প্রতিবাদে এভাবে প্রতীকী স্টল দিতে দেখা গিয়েছে বেকার যুবক যুবতীদের। প্রতীকী প্রতিবাদের জন্য এবার পুজো মণ্ডপকে বেছে নিলেন তাঁরা। উল্লেখ্য, পুজো মরশুমের মাঝেও কলকাতায় ধর্মতলায় এসএসসি সহ অন্যান্য চাকরি প্রার্থীরা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজ্যে শিক্ষক দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং সরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগের প্রতিবাদে আন্দোলন চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। তারই একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ ওঠে এল পুজোর মধ্যেও। পুজোয় প্রচুর দর্শনার্থী স্টলমুখী হন। মানুষের কাছে প্রতিবাদের ভাষা তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ বলে জানালেন যুবক যুবতীরা। তবে পুজোর মাঝে তাঁদের স্টল থেকে কম-বেশি বিক্রিবাট্টাও হচ্ছে বলে জানান তাঁরা। পুজোর কটাদিন তাঁরা এই স্টল রাখবেন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।