বহু পুজোমণ্ডপ আলোকসজ্জার জন্য লাখ লাখ টাকা খরচ করে থাকেন। কারও কারও মণ্ডপ সজ্জার হাইলাইটই থাকে আলো। সেক্ষেত্রে এই বৃষ্টি বা দুর্যোগের জন্য বিদ্যুৎ পরিষেবা পেতে কোনও সমস্যা হবে না তো? কতটা তৈরি প্রশাসন? পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের প্রেক্ষিতে তা জানার চেষ্টা করল এই সময় ডিজিটাল।
অন্যান্য জেলাগুলির মতো নবমী এবং দশমীতে এই দুই জেলাতেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বহু মানুষ ঠাকুর দেখার জন্য মেদিনীপুর শহরে যান। একাধিক মণ্ডপ আলোকসজ্জায় দিয়েছে বিশেষ নজর। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, লোডশেডিংয়ে সব আলো নিভবে নাতো?
এই প্রসঙ্গে মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন খান জানিয়েছেন, আবহাওয়া দফতর নবমী দশমীতে বৃষ্টির একটা পূর্বভাস দিয়েছিল। সেই মোতাবেক অগ্রিম পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। প্রত্যেক বিভাগের সিআইসি, কাউন্সিলর এবং আধিকারিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেখানে যেখানে বিদ্যুতের তার খোলা ছিল তা ঠিক করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। শহরের যে সমস্ত বড় বড় গাছ অল্প ঝড় হলেই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে তার ডাল আগেভাগেই ছেঁটে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “কোথাও মণ্ডপের কোনও অংশ যাতে দুর্যোগে ভেঙে পড়ে বিপত্তি না ঘটে সেই বিষয়ে উদ্যোক্তাদের সতর্ক করা হয়েছিল। মণ্ডপ যাতে মজবুত হয়, আবহাওয়ার বিষয়টি সামনে রেখে সেই বার্তা তাদের দেওয়া হয়েছে।” পাশাপাশি সতর্ক বিদ্যুৎ দফতরও।
এদিকে প্রস্তুত পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনও। জেলা বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক প্রদীপ মণ্ডল বলেন, “আমরা আবহাওয়ার পূর্বাভাস আগেই পেয়েছি। আমাদের এমার্জেন্সি টিম প্রস্তুত রয়েছে। পুজোর সময় যাতে সাধারণ মানুষকে বিদ্যুতের জন্য অন্তত সমস্যায় পড়তে না হয় তা নিশ্চিত করা আমাদের কাছে প্রাথমিকতা। যে কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে আমাদের টিম কাজ করবে। বিদ্যুৎ বিভ্রাট যাতে কোথাও না হয় সেই দিকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ নজর।” সবমিলিয়ে হাই অ্যালার্টে রয়েছে এই দুই জেলা।