WBSEDCL: বৃষ্টিপাতের জেরে লোডশেডিংয়ের আশঙ্কার সাধারণ মানুষ! কতটা প্রস্তুত বিদ্যুৎ দফতর-প্রশাসন? – purba and paschim medinipur administration wbsedcl team on power supply and other arrangement on durga puja


বছরের ৩৬০ দিন চলে পুজো প্ল্যানিং। পাঁচদিন জমিয়ে মজা। কিন্তু, আবহাওয়া যে সঙ্গ দিচ্ছে না। পুজোর সময় ঘূর্ণাবর্ত, নিম্নচাপ লেগেই রয়েছে গত কয়েক বছর ধরে। চলতি বছরেও পূর্বাভাস ছিল যে বাংলায় বৃষ্টিপাত হবে। কিন্তু, নিম্নচাপ- ঘূর্ণাবর্তের ভুলভুলাইয়াতে যে নবমীর সকাল থেকেই সবকিছু ঘেঁটে যাবে, সেই আন্দাজ বোধহয় অনেকেই করতে পারেনি।

বহু পুজোমণ্ডপ আলোকসজ্জার জন্য লাখ লাখ টাকা খরচ করে থাকেন। কারও কারও মণ্ডপ সজ্জার হাইলাইটই থাকে আলো। সেক্ষেত্রে এই বৃষ্টি বা দুর্যোগের জন্য বিদ্যুৎ পরিষেবা পেতে কোনও সমস্যা হবে না তো? কতটা তৈরি প্রশাসন? পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের প্রেক্ষিতে তা জানার চেষ্টা করল এই সময় ডিজিটাল।

অন্যান্য জেলাগুলির মতো নবমী এবং দশমীতে এই দুই জেলাতেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বহু মানুষ ঠাকুর দেখার জন্য মেদিনীপুর শহরে যান। একাধিক মণ্ডপ আলোকসজ্জায় দিয়েছে বিশেষ নজর। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, লোডশেডিংয়ে সব আলো নিভবে নাতো?

এই প্রসঙ্গে মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন খান জানিয়েছেন, আবহাওয়া দফতর নবমী দশমীতে বৃষ্টির একটা পূর্বভাস দিয়েছিল। সেই মোতাবেক অগ্রিম পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। প্রত্যেক বিভাগের সিআইসি, কাউন্সিলর এবং আধিকারিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেখানে যেখানে বিদ্যুতের তার খোলা ছিল তা ঠিক করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। শহরের যে সমস্ত বড় বড় গাছ অল্প ঝড় হলেই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে তার ডাল আগেভাগেই ছেঁটে রাখা হয়েছে।

West Bengal Rain : কলকাতা সহ একাধিক জেলায় শুরু তুমুল বৃষ্টি, কখন থামবে দুর্যোগ? জানাল হাওয়া অফিস
তিনি আরও বলেন, “কোথাও মণ্ডপের কোনও অংশ যাতে দুর্যোগে ভেঙে পড়ে বিপত্তি না ঘটে সেই বিষয়ে উদ্যোক্তাদের সতর্ক করা হয়েছিল। মণ্ডপ যাতে মজবুত হয়, আবহাওয়ার বিষয়টি সামনে রেখে সেই বার্তা তাদের দেওয়া হয়েছে।” পাশাপাশি সতর্ক বিদ্যুৎ দফতরও।

এদিকে প্রস্তুত পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনও। জেলা বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক প্রদীপ মণ্ডল বলেন, “আমরা আবহাওয়ার পূর্বাভাস আগেই পেয়েছি। আমাদের এমার্জেন্সি টিম প্রস্তুত রয়েছে। পুজোর সময় যাতে সাধারণ মানুষকে বিদ্যুতের জন্য অন্তত সমস্যায় পড়তে না হয় তা নিশ্চিত করা আমাদের কাছে প্রাথমিকতা। যে কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে আমাদের টিম কাজ করবে। বিদ্যুৎ বিভ্রাট যাতে কোথাও না হয় সেই দিকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ নজর।” সবমিলিয়ে হাই অ্যালার্টে রয়েছে এই দুই জেলা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *