কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?
প্রত্যেকবারই সাড়ম্বরে রেড রোডে পুজো কার্নিভ্যালের আয়োজন করে রাজ্য সরকার। নামজাদা পুজো কমিটিগুলি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাঝ্যমে অংশ নেয় সেই কার্নিভ্যালে। শোভাযাত্রার পর প্রতিমা সরাসরি বাবুঘাটে বিসর্জনের বন্দোবস্ত করা হয়।
দুর্গাপুজোর আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ২৭ অক্টোবরে রেড রোডে হবে দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল। যেসব পুজো কমিটিগুলি কার্নিভ্যালের শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করবে, তাদের সেদিনই দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। যে পুজো কমিটিগুলি কার্নিভ্যালে অংশগ্রহণ করবে না তাদের জন্য ২৪, ২৫ ও ২৬ অক্টোবর কলকাতার বিভিন্ন ঘাটে বিসর্জনের বন্দোবস্ত করা থাকবে।
কলকাতার গঙ্গার ঘাটে ঘাটে বিসর্জনের প্রস্তুতি
দশমীর সকাল থেকেই শুরু হয়েছে দেবী প্রতিমা বিসর্জন। কলকাতা পুরসভার কর্মীদের পাশাপাশি, গঙ্গার ঘাটে মোতায়েন করা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের। যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গঙ্গাবঙ্গে টহল দিচ্ছে রিভার ট্রাফিক পুলিশ। প্রথমে গঙ্গার ঘাটগুলিতে বাড়ির ঠাকুরগুলি বিসর্জন দেওয়া হবে। তারপরই চলবে বারোয়ারি পুজোর বিসর্জন।
বাবুঘাট, বাগবাজার ঘাট, আহিরীটোলা ঘাট, জাজেস ঘাটসহ একাধিক গঙ্গার ঘাটে চলছে বিসর্জন পর্ব। এবছরের জন্য মাকে শেষ বারের জন্য দেখা। মনে দুঃখ নিয়েই উঠছে ‘বলো দুগ্গা মাইকি’ ধ্বনি। দেবী প্রতিমা বিসর্জনের পরই গঙ্গার ঘাটে চলছে কোলাকুলি ও মিষ্টিমুখ।
টাকিতেও বিসর্জন
উত্তর ২৪ পরগনার টাকিতে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে ইছামতী নদীতে চলছে বিসর্জন। এপারে পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট আর ওপারে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলা। দুই বাংলা থেকেই প্রতিমা এনে নদীর বুকে বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, এবার ইছামতীতে বিসর্জনের জৌলুস অনেকটাই কম। তুলনামূলকভাবে অনেক কম সংখ্যায় প্রতিমা বিসর্জনের জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে।
অন্যদিকে বিসর্জন ঘিরে সকালেই উত্তেজনা ছড়ায় টাকিতে। পুবের রাজবাড়ির পুজোর প্রতিমা বিসর্জন নিয়ে বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন হাসনাবাদ থানার সেকেন্ড অফিসার তিলক সান্যাল। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে ঘাটের ডিউটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীকালে হাসনাবাদ থানার ওসির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।