এই রাজ্যে কেমন প্রভাব
এদিকে এর প্রভাব কিছুটা হলেও পড়তে হলেছে রাজ্যে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ সুন্দরবন এলাকায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার, সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে উত্তাল থাকবে সমুদ্র। ফলে মৎস্যজীবীদের আজ সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
আজকের তাপমাত্রা
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এদিন কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার আকাশও আংশিক মেঘলাই থাকবে। সঙ্গে হতে পারে বজ্র বিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি। এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি কম। পাশাপাশি দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি বেশি।
নবমী থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি
প্রসঙ্গত, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী দুর্গাপুজোর নবমীর দিন থেকেই বদলাতে থাকে আবহাওয়া। নবমীর দিন বেলার থেকেই কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আকাশের কালো মেঘ দেখা যায়। বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় বৃষ্টি। ফলে উৎসবের ছন্দে সাময়িক তাল কেটে যায়। বৃষ্টিতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন উৎসবপ্রেমী মানুষ। যদিও কিছুক্ষণ পরেই থেমে যায় বৃষ্টি। ফের মণ্ডপমুখী হতে শুরু করেন মানুষ।
দশমীতেও কলকাতায় বৃষ্টি
এরপর দশমীর দুপুর থেকেও শুরু হয় বৃষ্টি। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় দশমীর দুপুরে রীতিমতো বৃষ্টি হয়। ফলে একইভাবে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে বিপাকে পড়তে হয় মানুষকে। সেই বৃষ্টি বিক্ষিপ্তভাবে দফায় দফায় চলতে থাকে। ওইদিনই আবার বিকেলে বাবুঘাট-সহ কলকাতার বিভিন্ন ঘাটে শুরু হয় প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা। কার্যত বৃষ্টির মাঝেই চলতে থাকে ঠাকুর বিসর্জন। যদিও সন্ধ্যা গড়িয়ে যাওয়ার পর আর তেমন বৃষ্টি দেখা যায়নি। যার জেরে উৎসবের একদম শেষ বেলায় ফের সামিল হতে পারেন মানুষ।