দীর্ঘদিন ধরেই বকেয়া ডিএ আদায়ের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। চলছে দফায় দফায় আন্দোলন। দুর্গাপুজোর আগে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের আরও ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্র। রাজ্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের ফারাক বেড়ে ৪০ শতাংশ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ-র ফারাক যত বাড়ছে, একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্ষোভও।
ডিএ নিয়ে আন্দোলনের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। এত কিছু করে আদৌ ডিএ মিলবে কিনা তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এবার দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জন করতে এসে সরাসরি ধনদেবীর কাছে ডিএর প্রার্থনা জানালেন বারোয়ারি পুজো কমিটির সদস্যরা। জানা গিয়েছে, হুগলি জেলার চুঁচুড়াতে আদি তোলাফটক বারোয়ারির পুজো কমিটির মধ্যে অনেকেই রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী, স্কুল শিক্ষক।
পুজো কমিটির সদস্যদের মধ্যে রয়েছে প্রতাপ চক্রবর্তী নামের এক ব্যক্তি। তিনি চুঁচুড়া পুরসভার প্রাক্তন কর্মচারী। ট্যাক্স বিভাগ থেকে বছর দুয়েক আগে তিনি অবসর নেন। চুঁচুড়ার অন্নপূর্ণা ঘাটে বারোয়ারীর প্রতিমা নিরঞ্জন করতে এসে লক্ষ্মী প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় তাঁকে প্রার্থনা করতে দেখা যায়।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রতাপ বলেন, ‘ডিএ দিয়ে দাও মা। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে ৪০ শতাংশের তফাত হয়ে গেল। প্রতি মাসে ১০ হাজার ৭০০ টাকা কম পাচ্ছি। আমাদের পশ্চিমবঙ্গের দেবী হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ইচ্ছা হলেই তিনি দিয়ে দেবেন।’
বিসর্জনের সময় হাজির অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক পার্থপ্রতিম দত্ত বলেন, ‘মা-কে কৈলাশে পাঠানোর আগে মর্ত্য থেকে ডিএ-র প্রার্থনা জানাচ্ছি। সরকার যেন ডিএ দিয়ে দেয় আমাদের। ডিএ প্রদান করলে মর্ত্যেও শান্তি থাকবে। কৈলাশে যেমন শান্তি রয়েছে, মর্ত্যেও তেমনটাই চাই।’
ডিএ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। আগে কেন্দ্রীয় সরকারির কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের ডিএ-র ফারাক ছিল ৩৬ শতাংশ। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৪০ শতাংশ। কেন্দ্রের তরফে এই নয়া ঘোষণা আসার পর সরকারি কর্মীরা জানিয়েছে, আগামী দিনে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়বে।