রেড রোডে কার্নিভ্যালের দিনই শহীদ মিনারে ‘বিষাদ সম্মিলনী’, ডিএ-র দাবিতে নয়া আন্দোলন


পুজো মিটে গিয়েছে, কিন্তু রয়ে গিয়েছে রেশ। রাজ্য সরকারের আয়োজনে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জেলায় এবং শুক্রবার খোদ কলকাতায় আয়োজিত হতে চলেছে দুর্গাপুজো কার্নিভ্যাল। সেই কার্নিভ্যালকে ঘিরেও চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি। এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় পুজো কার্নিভ্যালের দিনই পালটা বিষাদ সম্মিলনীর ডাক দিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। শহীদ মিনারে হতে চলা এই বিষাদ সম্মিলনীতে রয়েছে একগুচ্ছ কর্মসূচি।

প্রতীকী অনশনের সিদ্ধান্ত
এই প্রসঙ্গে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘আনন্দের উৎসব পালন হতেই পারে, মায়ের পুজো উৎসবের একটা অঙ্গ। কিন্তু সরকার যখন সমস্ত বঞ্চনাকে ভুলে গিয়ে এইগুলি দিয়ে জনগণকে ভুলিয়ে রাখতে চায়, তখন প্রতিবাদ হওয়াটা প্রয়োজনীয় বলে আমার মনে করি। শুধু আমরা নই, আমাদের মঞ্চে চাকরি প্রার্থীরা থাকবেন, পেনশনার্সরা থাকবেন, সকলে মিলে প্রতীকী অনশন শুরু হবে।’

DA Protest West Bengal

ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন


২৭ তারিখই কেন?

কিন্তু ২৭ তারিখ, অর্থাৎ রাজ্য সরকারের আয়োজিত পুজো কার্নিভ্যালের দিনেই এই কর্মসূচি কেন? এই প্রসঙ্গে ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘যে সরকার তার কর্মচারি, বেকার ছেলেদের দাবিদাওয়া মেটাতে সময় পায় না, তারা যখন এই ধরণের আয়োজন করে, তখন সেই আয়োজনের মধ্যে কোথাও না কোথাও আসল সমস্যা থেকে মানুষের দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা থাকে। তারই প্রতিবাদে এটা করা।’

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। দফায় দফায় চলেছে আন্দোলন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি। বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। কিন্তু তারপরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। পুজোর আবহে হুগলি চুঁচুড়াতেও উঠেছে ডিএ-র দাবি।

DA Hike : ডিএ প্রার্থনা দুর্গা বিসর্জনেও! গঙ্গার ঘাটে দাঁড়িয়ে ‘দেবী’ মমতার কাছে বকেয়া মেটানোর দাবি
দেবীর কাছে ডিএ প্রার্থনা
প্রতিমা নিরঞ্জন করতে গিয়ে সরাসরি দেবা লক্ষ্মীর কাছে ডিএ-র প্রার্থনা জানিয়েছেন বারোয়ারি পুজো কমিটির সদস্যরা। হুগলি চুঁচুড়ার আদি তোলাফটক বারোয়ারি পুজো কমিটির অনেক সদস্যই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী ও স্কুল শিক্ষক। তাঁদেরই একজন প্রতাপ চক্রবর্তী। হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার প্রাক্তন কর্মী। বছর দুয়েক আগে চাকরি থেকে অবসর নেন। চুঁচুড়ার অন্নপূর্ণা ঘাটে বারোয়ারীর লক্ষ্মী প্রতিমা নিরঞ্জনের তাঁকে দেবীর সামনে প্রার্থনা করতে দেখা যায়। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ডিএ দাও মা।’ বিসর্জনের সময় উপস্থিত অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক পার্থপ্রতিম দত্ত বলেন, ‘মা-কে কৈলাসে পাঠানোর আগে ডিএ-র প্রার্থনা জানাচ্ছি, সরকার যেন আমাদের ডিএ দিয়ে দেয়।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *