শ্রম ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, ‘রাজ্যে পশ্চিম বর্ধমান একমাত্র জেলা যেখানে দু’টি মহকুমায় দু’টি পুজো কার্নিভাল একদিনে আয়োজিত হচ্ছে। রাজ্য সরকারের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর অনুমতি দিয়েছেন। সরকারি ভাবে আয়োজিত এই কার্নিভালে প্রতিযোগীদের আর্থিক পুরষ্কারও দেওয়া হবে। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার যথাক্রমে ১ লাখ, ৭৫ হাজার ও ৫০ হাজার টাকা।’
এদিন বর্ধমান শহরের কার্নিভালে অংশ নেবে ২৭টি পুজো কমিটি। দুর্গাপুরে মহিলা মহাবিদ্যালয়ের সামনে তৈরি করা হয়েছে কার্নিভালের মূল মঞ্চ। সামনে মহাত্মা গান্ধী রোডে হবে কার্নিভাল। প্রস্তুতি প্রায় শেষ। আজ কার্নিভাল শুরু দুপুর তিনটেয়। এবার একে অপরকে টেক্কা দিয়ে সেরার শিরোপা তুলে নিতে কোমর বেঁধে ময়দানে নামছে পুজো কমিটিগুলো।
কার্নিভালে অংশ নিচ্ছে রানা প্রতাপ দুর্গাপুজো কমিটি, সি-জোন সর্বজনীন, ডুমুরতলা দুর্গাপুজো কমিটি, বুদ্ধবিহার, ডি-সেক্টর মহিলা কো-অপারেটিভ, নবারুণ, ক্লাব স্যান্টোস, উর্বশী, অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদ, চতুরঙ্গ, মার্কনী দক্ষিণপল্লি, ফুলঝোড়, ধান্ডাবাগ পূর্বাঞ্চল, গোপালমাঠ, বহুলা ও পলাশডিহা পুজো কমিটি।
দুর্গাপুরে কার্নিভালের মূল দায়িত্বে রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। বুধবার রাতে তিনি কার্নিভালের প্রস্তুতি দেখতে আসেন। বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় গত বছর কার্নিভাল শুরু হয়েছিল দুর্গাপুরে। এবারও হচ্ছে। সব প্রস্তুতি সারা। গতবার কিছু ভুল ত্রুটি হয়েছিল। এবার সমস্যা হবে না।’
আসানসোলে কার্নিভাল শুরু হবে বিকেল চারটেয়। আসানসোল জিটি রোডের বিএনআর মোড় সংলগ্ন ভগৎ সিং মোড় বাছা হয়েছে কার্নিভালের জন্য। তৈরি হয়েছে একটি মঞ্চ। এদিন বিকেলে কার্নিভাল আয়োজনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন মলয় ঘটক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পোন্নাবলম এস, পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরি, মহকুমাশাসক অভিজ্ঞান পাঁজা।
এদিন কার্নিভাল হচ্ছে বর্ধমানেও। তার প্রস্তুতি চলেছে জোরকদমে। কার্নিভালের জন্য বাছা হয়েছে শহরের নীলপুর মোড় থেকে স্টেশন সংলগ্ন পাঞ্জাবি পাড়া। কার্নিভালের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে জিটি রোডে যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।