অন্যদিকে, ইডি বাড়ির দুয়ারে পৌঁছনোর প্রায় ঘণ্টা দশেক পরে পুরী থেকে কলকাতা পৌঁছলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্তসহায়ক অমিত দে। এদিন সকালে ইডি এক দল আধিকারিক মন্ত্রীর বাড়ি ঢুকলে অপর দল পৌঁছয় তাঁর আপ্তসহায়কের নাগেরবাজারের বাড়ি। ইডি সূত্রে খবর, এখানে অমিত দে-র তিনটি বাড়ি রয়েছে। কিন্তু এদিন সকালে সেখানে পৌঁছে বাড়ি তালাবন্ধ পায় ইডি আধিকারিকরা। খোঁজ চলে অমিত দে-এর। কিন্তু ফোনেও প্রথমে তার সঙ্গে যোগযোগ করা যায়নি। হোয়াটস অ্যাপের স্ট্যাটাসে থাকা ছবি দেখে অনুমান করে নেওয়া হয় তিনি হয়তো পুরী বেড়াতে গিয়েছেন। পুরীতেই ইডি-এর প্রতিনিধি দল হোটেলে হোটেলে তল্লাশি শুরু করে। ইতিমধ্যেই কলকাতায় ফেরেন অমিত দে। বিমানবন্দর থেকেই ইডি-এক গাড়িতে পৌঁছন নাগেরবাজার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও সন্তান।
আপ্তসহায়ক ছাড়াও মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠজনের বাড়িতেও হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট আধিকারিক। হাওড়ার কদমতলায় জ্যোতিপ্রিয়ের এক ঘনিষ্ঠের বাড়িতেও হাজির হন ইডির ছয় আধিকারিক। সেখানে চলছে তল্লাশি। এছাড়া মন্ত্রীর আপ্তসহায়ক অমিত দে-এর বন্ধু রনির বাড়িতেও হানা দেয় ইডি। বেলেঘাটার ওই ব্যবসায়ী ছেলে সম্প্রতি খাদ্য দফতরে চাকরি পেয়েছেন। তাঁর সঙ্গে মন্ত্রীর সংযোগও ইডি-এর আতস কাচের তলায়। এছাড়াও আট জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি-এর বিশেষ দল। রেশন দুর্নীতি মামলায় ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের গ্রেফতারির পর মামলায় উঠে আসে একাধিক তথ্য। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই এদিন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর বাড়ি তল্লাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ি ইডি তল্লাশি নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী
বালু অর্থাৎ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ি ইডি হানা দিতেই দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘একের পর এক মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি। কই BJP বিধায়ক-মন্ত্রীদের বাড়িতে তো আর তল্লাশি চলছে না! বালুর শরীর প্রচণ্ড খারাপ। ওর প্রচুর সুগার। কাল যদি মারা যায় তাহলে ইডি-BJPর বিরুদ্ধে এফআইআর করব।’