ব্রিটিশ লেখিকা জে কে রাউলিং রচিত সাত খণ্ডের জনপ্রিয় সিরিজ হল হ্যারি পটার। যার মূল বিষয়বস্তু জাদুর দুনিয়া। গোটা কাহিনী হ্যারি পটার নামের এক কিশোর জাদুকরকে ঘিরেই। যেখানে হ্যারি তার দুই প্রিয় বন্ধু রন উইজলি ও হারমায়নি গ্রেঞ্জারকে সঙ্গে নিয়ে নানা অ্যাডভেঞ্চারে অংশ নেন। আর সেই গল্পের বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটেছে হগওয়ার্টস স্কুল অব উইচক্র্যাফট এন্ড উইজার্ডরিতে।
থ্রিডিতে দেখবেন কল্পনার জগত
আর এবার সেই জাদুনগরীর স্কুলই মণ্ডপের রূপ পাবে ভাতৃ সংঘের জগদ্ধাত্রী পুজোয়। মণ্ডপ থেকে প্রতিমা, সবেতেই এবার অভিনবত্বে ভরা থাকবে বলেই জানাচ্ছেন পুজো উদ্যোক্তারা। থ্রিডির মাধ্যমে গোটা প্যান্ডেল ফুটে উঠবে জাদু নগরী রূপে। দেখে মনে হবে যেন আপনি পৌঁছে গিয়েছেন কল্পনার জগতে। এই অভিনব মণ্ডপসজ্জা শিশু থেকে বয়স্ক, সমস্ত বয়সের মানুষকেই আনন্দ দেবে বলে আশাবাদী উদ্যোক্তারা। এছাড়াও আরও বেশ কিছু বিশেষ আকর্ষণ থাকবে এই পুজোয়, যা এখনই প্রকাশ্যে আনতে রাজি নন পুজো কমিটির সদস্যরা। পুজোর বাজেট রাখা হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা, জানালেন কমিটির অন্যতম সদস্য সুরজ দে।
গত বছরও ছিল দারুণ থিম
গত বছর এই পুজোর থিমে উঠে এসেছিল জারোয়া জনজাতি, যা বিচারকদের চোখে অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভা এলাকার পুজোগুলির মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিল। এই বছর তাদের হ্যারি পটারের জাদু নগরীর ভাবনা কতোটা সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা যায় এখন সেই চেষ্টাই চালাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বছরের ভাবনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো উৎসাহিত ভাতৃ সংঘের সদস্যরা।
ভিড় নিয়ন্ত্রণে বাড়তি গুরুত্ব
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছরে জগদ্ধাত্রী পুজোর মধ্যে দিয়ে জেলার পাশাপাশি রাজ্যের মধ্যে অন্যতম জায়গা করে নিয়েছে অশোকনগর-কল্যাণগড়। তাই এই বছর হ্যারি পটারের হাত ধরে আরও বেশকিছু বাড়তি পাওনা হবে বলেই মনে করছেন নেটাগরিকরা। এদিকে বাড়তি ভিড় সামাল দিতে এই বছর কী ভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হবে তার প্রাথমিক আলোচনাও সেরে নিচ্ছেন ভাতৃ সংঘের পুজো উদ্যোক্তারা।