কিন্তু দীর্ঘদিনের এই রীতির সঙ্গে এবার যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশের বুলডোজ়ার সংস্কৃতি যোগ করতে চেয়েছিলেন শিল্পনগরীর রামভক্তদের একটি সংগঠন। যদিও বুলডোজ়ার রাস্তায় নামতেই তা আটকে দেয় পুলিশ। বাধ্য হয়ে বুলডোজ়ার ছাড়াই র্যালি করেন রামভক্তরা। এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপিও।
জানা গিয়েছে, বুলডোজ়ার র্যালির আয়োজন করতে চেয়েছিল দুর্গাপুরে মেন গেট এলাকার জনকল্যাণ আখড়া নামে একটি সংগঠন। বুলডোজ়ারটির নাম দেওয়া হয়— বুলডোজ়ার বাবা। শোভাযাত্রা শুরু হতেই একাধিক রামভক্ত বুলডোজ়ারের উপর উঠে রামের নামে স্লোগান দিতে থাকেন। প্রত্যেকের হাতে ঝান্ডা। তার সঙ্গে সাউন্ড সিস্টেমে তারস্বরে চলছে রাম-নাম। র্যালির জন্য আগে থেকে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন ছিল।
র্যালি শুরু হওয়া মাত্র পুলিশ গিয়ে বুলডোজ়ার আটকে দেয়। উদ্যোক্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় কোনও ভাবেই বুলডোজ়ার নিয়ে র্যালি করা যাবে না। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি কুমার গৌতম বলেন, ‘গত বছরগুলির মতোই র্যালি করতে বলা হয়েছিল। বুলডোজ়ার নিয়ে র্যালি করতে বারণ করা হয়েছিল। ফলে বুলডোজ়ার রাস্তায় বার হতেই আটকে দেওয়া হয়।’
জনকল্যাণ আখড়ার সদস্য রণতোষ রায় বলেন, ‘পুলিশ আমাদের বলেছে বুলডোজ়ার নিয়ে র্যালি করলে সমাজে ভুল বার্তা যাবে। আমরা পুলিশের অনুরোধ মেনে নিয়েছি। রাম, লক্ষ্মণ, সীতা, হনুমান সাজিয়ে বাজনার সঙ্গে র্যালি হয়েছে।’ ঘটনার নিন্দা করে বিজেপির বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, ‘উদ্যোক্তাদের মধ্যে কিছু উশৃঙ্খল ছেলে এটা করেছে। আমরা সাফ বলে দিয়েছি, দুর্গাপুর শহরের একটা ঐতিহ্য আছে। শিক্ষিত লোকেদের বাস এখানে। র্যালিতে বুলডোজ়ার নিয়ে আসা কখনওই মেনে নেওয়া যাবে না।’
তৃণমূল নেতা তথা পুরসভার সহকারী প্রশাসক অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বুলডোজ়ার তো কারখানা বা কোনও নির্মাণকাজে ব্যবহার হয়। রামের নামে যে শোভাযাত্রা তাতে বুলডোজ়ার কেন? প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে।’
উদ্যোক্তাদের মধ্যে কিছু উশৃঙ্খল ছেলে এটা করেছে। আমরা সাফ বলে দিয়েছি, দুর্গাপুর শহরের একটা ঐতিহ্য আছে। শিক্ষিত লোকেদের বাস এখানে। র্যালিতে বুলডোজ়ার নিয়ে আসা কখনওই মেনে নেওয়া যাবে না—লক্ষ্মণ ঘোড়ুই, বিজেপি বিধায়ক