কী ঘটনা ঘটেছে?
বসিরহাটের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ঘোজাডাঙা এলাকার বাসিন্দা নিমাই সর্দারের মৃত্যু হয় গত রবিবার। তাঁর তিনি মেয়ে, কোনও পুত্রসন্তান নেই। সেই কারণে শেষকৃত্য করার জন্য ডাক পড়ে ভাইপো পঞ্চানন সর্দারের। মৃত নিমাইয়ের দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার পর মুখাগ্নি করে ভাইপো। সৎকারের সময় মৃত ব্যক্তির তোষক ও বালিশ চিতায় তুলে দেওয়া হয়। তোষক ও বালিশ আগুনে পোড়ার সময় ৫০০ টাকার বেশ কয়েকটি নোট চোখে পড়ে পরিবারের সদস্যদের। তারপর নজরে আসে একটি ব্যাগ। দ্রুত আগুন থেকে ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। ব্যাগ খুলতে তা থেকে এক গোছা ৫০০ টাকার নোট বেরিয়ে পড়ে।
আধপোড়া টাকা নিয়ে বিপাকে ভাইপো
কাকার চিতা থেকে আধপোড়া টাকা উদ্ধারের পর বিপাকে পড়ে পরিবার। কোনও ব্যাঙ্কে ঘুরে সেই টাকা বদল করা যায়নি। পরে হাবড়ায় এক ব্যক্তির খোঁজ পান মৃত নিমাইয়ের ভাইপো পঞ্চানন। ওই ব্যক্তি পোড়া টাকা বদলে দেন বলে জানার পরই কাকার টাকা নিয়ে হাবড়া চলে আসেন পঞ্চানন। তন্ন তন্ন করে খুঁজে খোকন ঘোষ নামের ওই ব্যক্তি খোঁজ পান পঞ্চানন। পোড়া ১৬ হাজার টাকা নোটের বদলে পঞ্চাননের হাতে ৭ হাজার ১৫০ টাকা তুলে দেন খোকন। সেই টাকা নিয়ে খুশি ভাইপো পঞ্চানন।
কী বললেন ভাইপো পঞ্চানন?
মৃত নিমাই সর্দারে ভাইপো পঞ্চানন সর্দার বলেন, ‘মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে সৎকারের সময় ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল আমার চোখে পড়ে। স্থানীয় শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কাকার বালিশ-বিছানা চিতায় দিয়ে আগুন দেওয়ার পর ওই ৫০০ টাকার বান্ডিল আমাদের চোখে পড়ে। বালিশ আগুন থেকে উদ্ধার করা হয়। বালিশের ভিতর একটি ব্যাগ ছিল। তা থেকে ১৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। সেই টাকা কাকার জমানো। কাকা ভ্যান চালাতেন, কিন্তু এত টাকা জমিয়েছেন তা আমরা কেউ জানতামই না। ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা বদলাতে পারিনি। অবশেষে হাবড়াতে এসে সেই টাকা বদল করা সম্ভব হল।’