মিছিলের আয়োজন
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে ইডির হাতে গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তার গ্রেফতারির পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করে সিপিএম নেতৃত্ব। জেলায় জেলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। তেমনই হাবড়া জেলায় সিপিএমের তরফে একটি মিছিলের আয়োজন করা বিধায়কের পদত্যাগের দাবিতে।
সিপিএম কী বলছে?
এদিন সকালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানান, শুধুমাত্র জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করলেই হবে না। এই দুর্নীতিতে ‘মাথা’ কে টেনে আনতে হবে। তাঁকেও গ্রেফতার করতে হবে বলেও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, বিধানসভায় রাজ্য সরকার বিবৃতি দিয়ে জানায়, রাজ্যের প্রায় দশ কোটি মানুষকে রেশন সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করছেন তাঁরা। কিন্তু গোটা রাজ্যের প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ রেশন সামগ্রী গ্রহণ করেন না। সেই ক্ষেত্রে বাকি রেশন সামগ্রী কোথায় যায় প্রশ্ন তোলেন তিনি। এমনকি, রেশন বণ্টনে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ড
প্রসঙ্গত, রেশন বন্টন দুর্নীতি কাণ্ডে ইতিমধ্যে বাকিবুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে ইডি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য জোগাড় হয়েছে। বাকিবুর রহমানের সঙ্গে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে দাবি করা হয়। দুজনকে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে পারে ইডি বলে এমনটাই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এরই মাঝে গতকাল ইডির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের বক্তব্য কী?
মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পর বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেন, রাজ্যে এখন পুজোর মরশুম চলছে। সবাই শান্তিতে সময় কাটাচ্ছেন। এর মধ্যে অশান্তি পাকানোর জন্য এবং সর্বোপরি কিছুদিন আগে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া টাকা নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন হয়েছে। আগামী দিনে আরও আন্দোলন হতে চলেছে, সেদিক থেকে নজর ঘোরানোর জন্যেই এই কাণ্ড ঘটানো হচ্ছে।