ঠিক কী ঘটেছে?
স্টেশন থেকে অটোস্ট্যান্ডে পৌঁছে একটি দোকান থেকে খাবার কিনে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন ওই মহিলা। ফেরার সময় হঠাৎই এক যুবক বাইকে করে তাঁর পিছু নেয়। বিদ্যাভবন স্কুলের কাছে পৌঁছতেই পিছন থেকে মহিলার দুই কানের দুটি দুল ছিঁড়ে নিয়ে চম্পট দেয় ওই দুষ্কৃতী। মহিলার চিৎকার চেঁচামেচিতে ছুটে আসে স্কুলের পাশে থাকা বেশ কয়েকজন অভিভাবক। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই মহিবারে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই মহিলাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপরই তিনি চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে চুঁচুড়া থানার পুলিশ। আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। অভিযুক্তকে খুব শীঘ্রই ধরা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কী বললেন ওই মহিলা?
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওই মহিলা বলেন, ‘শ্রীরামপুর থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। চুঁচুড়া স্টেশন লাগোয় অটোস্ট্যান্ডের পাশের একটি দোকান থেকে খাবার কিনে বাড়ি ফিরছিলাম। সেই সময় বাইকে করে এক দুষ্কৃতী এসে আমার সামনের দাঁড়ায়। আমি গুরুত্ব না দিয়ে এগিয়ে যেতে থাকি। তখনই পিছন দিক থেকে আমার দু’কানের দুটি দুল ছিঁড়ে নিয়ে বাইকে চেপে চম্পট দেয় ওই দুষ্কৃতী। লোকের বাড়িতে কাজ করে আমার সংসার চলে। সম্বল বলতে ওই সোনার কানের দুল দুটিই ছিল। পুলিশের উপর ভরসা রয়েছে। আমি যেন আমার জিনিসটা ফেরত পাই।’
এই ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, এলাকায় পুলিশি টহলদারি আরও বাড়াতে হবে। নইল দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বন্ধ করা যাবে না। স্থানীয় বাসিন্দা অজয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘স্কুলের সামনে সবসময় লোকজন থাকে। জমজমাট এলাকা। সেরকম একটি জনবহুল এলাকায় সকাল আটটার সময় এমন ঘটনা ঘটল। এই ঘটনায় নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। প্রশাসন যেন অভিযুক্তর শাস্তির বন্দোবস্ত করে। আমরা চাই ওই মহিলার কানের দুল দুটি যেন উদ্ধার করে দেওয়া হয়।’