Dilip Ghosh on Jyotipriya Mallick : ‘গো-খাদ্য খেল লালু, মানুষের খাদ্য খেল বালু’, চরম কটাক্ষ দিলীপের – dilip ghosh criticises jyotipriya mallick as he fell sick in court after arrested in ration scam


রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে শুক্রবার দুপুরে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। সেখানে বিচারকের নির্দেশ শোনার সময় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। ঘটনায় সমালোচনা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের। তদন্তের হাত থেকে বাঁচতে শারীরিক অসুস্থতার পথ বেছে নেওয়া হচ্ছে বলে কটাক্ষ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের।

কী বললেন দিলীপ?

বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ এদিন জানান, ইডি-সিবিআইয়ের হাতে গেলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘কেউ অসুস্থ হয়। আবার অনেকে দিল্লি গিয়ে ভালো হয়ে যায়। বিপি ঠিক হয়ে যায়। সুগার অক্সিজেনও ঠিক হয়ে গিয়েছে। সময়ে সবকিছু হয়।

জ্যোতিপ্রিয়কে কটাক্ষ

দিলীপ এদিন জানান, যে ধরনের জীবনযাপন করেছিলেন, সেইভাবে তো আর হবে না। তবে যে একটা স্লোগান ছিল, এখন পাল্টে গিয়েছে। এরপরেই দিলীপের কটাক্ষ, ‘যবতক সিঙাড়া মে আলু হ্যায়, তব তক বিহার মে লালু হ্যায়। আমাদের এখানে এখন পাল্টে হয়েছে গো-খাদ্য খেল লালু, আর মানুষের খাদ্য খেল বালু।’

বিজেপি বিধায়কের দলবদল

বৃহষ্পতিবার বাঁকুড়া জেলার কোতলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। এছাড়াও অনেক বিজেপি বিধায়ক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বলে দাবি তৃণমূলের। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান, এই গল্প অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। উল্টোটাও হতে পারে। তিনি বলেন, ‘উনি অনেকদিন ধরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছিলেন। অনেকের অনেক সমস্যা আছে। কথা বলতে হবে, খোঁজ খবর নিয়ে,তারপরেই বলা যাবে।’
দিলীপের বক্তব্য, বিজেপি চক্রান্তের রাজনীতি করে না। পাশাপাশি বিজেপি ছেড়ে যেসব বিধায়করা চলে যাচ্ছে তাঁদের উপর অনেক চাপ আছে। কাজ করতে পারছে না, সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফল আশাপ্রদ না হওয়ার কারণে অনেকের মন খারাপ। আগে এত বড় পরিবার ছিল না। পরিবার বড় হলে সমস্যাও বেশি। পার্টি বড় হলে সমস্যা হয়, সেই সমাধানের রাস্তাও পার্টির মধ্যেই আছে বলে যানান দিলীপ ঘোষ।

Suvendu Adhikari on Jyotipriya Mallick : ‘নোটবন্দিতে ৮ কোটি কালো টাকা সাদা…!’ দুর্নীতিতে জ্যোতিপ্রিয় কন্যাকেও টানলেন শুভেন্দু
একের পর এক দুর্নীতি

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পি একে ইডির ডাকা প্রসঙ্গে দিলীপ এদিন জানান, এখন অনেক কিছু দেখতে হবে। কত পিএ, কত চামচা, কত টাকা, কীভাবে টাকা লুট হয়েছে। যে মুরগি কাটতো সে ডেলিভারি বয়, যে কয়লা বিক্রি করতো সে কয়েকশো কোটি টাকার মালিক। যে মাগুর মাছ বিক্রি করতো সে ৫৫০ কোটি টাকার মালিক। এরাই তো আজ পশ্চিমবঙ্গের নেতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবাংলাকে এই দিয়েছেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *