কী বললেন জ্যোতিপ্রিয়র দাদা?
দীর্ঘ ম্যারাথন তল্লাশির সময় জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী মণিদীপা ও তাঁর কন্যা প্রিয়দর্শনী মল্লিকও সল্টেলেকের বাড়িতেই ছিলেন। এছাড়াও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও সেই সময় বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন বলে ED সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁদেরও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। কিন্তু জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারির পর এখনও অবধি কেউ এই নিয়ে মুখ খোলেননি। অবশেষে ব্যাঙ্কশাল আদালতে এই নিয়ে মুখ খুললেন তাঁর দাদা।
জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারি নিয়ে সাংবাদিকদের তাঁর দাদা দেবপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘উনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তবে আমরা এখনই কিছুই বলব না। যা বলার আদালতে বলব।’
রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে নাম জড়ায় বালুর
করোনার সময় রেশনের চাল ও অন্যান্য শস্য বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এর ভিত্তিতে ২০২২ সালে ECIR দাখিল করে তদন্তে নামে ED। চলতি বছর অক্টোবর মাসে উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়ার একাধিক জায়গায় চালের গুদাম ও বিভিন্ন ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সেখান থেকেই ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের নাম উঠে আসে। ১১ অক্টোবর বাকিবুরের কৈখালির ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় ED। দীর্ঘক্ষণ ৫২ ঘণ্টার ম্যারাথন তল্লাশির পর বাকিবুরকে আটক করে ED দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। বাকিবুরকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে অভিযান চালায় ED। তারপরই মাঝরাতে মন্ত্রীর এই গ্রেফতারি।
জ্যোতিপ্রিয় পাশে মমতা
বৃহস্পতিবার বিকেলে কালীঘাটের বাড়ি থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পাশে থাকার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আজ সকালে লোকে বালুর বাড়ি বিজয়া করে গিয়ে দেখছে সেখানে ED ঢুকে বসে রয়েছে। সব মন্ত্রীদের বাড়িতেই ইডি চলে যাচ্ছে…জ্যোতিপ্রিয়র শরীর খারপ, সুগার খুব বেশি। ওঁর কিছু হলে আমি কিন্তু বিজেপি ও ইডির বিরুদ্ধে FIR করব।’