পুলিশ সূত্রে খবর, বউবাজার এলাকায় একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন অভিযুক্ত অমিত সেন। হিসেবরক্ষক ছিলেন তিনি। কাজের গুণে অফিস কর্তৃপক্ষ তাঁকে বিশ্বাসও করতেন। সেই সুযোগেই অমিত ২০১৪ সাল থেকে অল্প অল্প করে টাকা সরাতে শুরু করেন। যাতে মালিকের সন্দেহ না হয়, সে কারণেই এই কীর্তি।
টাকা জমানো শুরু হয় স্ত্রী মামনি সেনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। কী ভাবে টাকা সরাতে হবে, সেই পরামর্শ দিতেন স্ত্রীই। সব ঠিকঠাক চলছিল। চলতি বছরে অন্য এক হিসাবরক্ষককে কাজকর্ম দেখার দায়িত্ব দিয়েছিলেন অফিস কর্তৃপক্ষ। তাতে অমিতের এই জালিয়াতির বিষয়টি সামনে আসে। জানা যায়, এক বা দু’লাখ নয়।
অল্প অল্প করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে বউবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ১২০টি চেকে জাল সই করে ওই টাকা সরানো হয়েছে। ৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা হাতানোর প্রমাণ মিলেছে এখনও পর্যন্ত। স্বামী-স্ত্রীর তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
তার মধ্যে দু’টি অ্যাকাউন্টে এক কোটি টাকা করে মোট দু’কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ৭০ লাখের গয়না। তা ছাড়াও চারটি বিলাসবহুল গাড়ি এবং পাঁচটি ফ্ল্যাট ওই দম্পতি কিনেছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। টাকা হাতানোর অভিযোগে পুলিশ আগেই অমিত সেনকে গ্রেফতার করেছিল। এ বার জালিয়াতির অভিযোগে তাঁর স্ত্রী মামনিকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করল পুলিশ।