Lunar Eclipse 2023: চন্দ্রগ্রহণে কি খোলা থাকছে রাজ্যের জাগ্রত মন্দিরগুলি? খোঁজ নিল এই সময় ডিজিটাল – west bengal temples will be closed or not amid 2023 lunar eclipse


লক্ষ্মীপুজোর দিনই বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ। ২০২৩ সালের শেষ চন্দ্রগ্রহণের যোগ পড়েছে ২৮ ও ২৯ অক্টোবর। কোজাগরী পূর্ণিমা বা শারদ পূর্ণিমা অর্থাৎ লক্ষ্মী পুজোর দিনেই গ্রহণ ও তার শুভ-অশুভ যোগ নিয়ে চলছে আলোচনা। একে লক্ষ্মী পুজো, তায় গ্রহণ যোগ। অনেকেই বিশ্বাস করেন গ্রহণের সময় কোনও শুভ কাজ করতে নেই। তাই শনিবার চন্দ্রগ্রহণের সময় কি বন্ধ থাকবে মন্দির? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজ্যের একাধিক প্রসিদ্ধ ও জাগ্রত মন্দিরের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি খোঁজ নিল এই সময় ডিজিটাল।

দক্ষিণেশ্বর মন্দির

চন্দ্রগ্রহণে কি পরিবর্তিত হচ্ছে দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের পুজোর সময়সূচি? মন্দিরের ট্রাস্টির বর্তমান সম্পাদক কুশল চৌধুরী জানান, চন্দ্রগ্রহণের কারণে শনিবার লক্ষ্মীপুজোর দিন মন্দিরের স্বাভাবিক পুজোর সময়ে কোনও পরিবর্তন নেই। এমনকী বন্ধ থাকছে না মন্দির। সময়সূচি মনে নির্দিষ্ট সময়ই খোলা হবে দক্ষিণেশ্বর।

তারাপীঠ

তারাপীঠ মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রহণের জন্য মন্দির বন্ধ থাকছে না। কারণ গ্রহণটা দৃশ্যমান হচ্ছে অনেক রাতের দিকে। আর ওই সময়ে মন্দির এমনিতেই বন্ধ থাকে। যদি বিকেল বা সন্ধ্যের দিকে গ্রহণ লাগত তাহলে মন্দির বন্ধ রাখা হত।

নবদ্বীপ

নিত্যানন্দ বংশের ত্রয়োদশ বংশধর আন্তর্জাতিক তথা বলদেব মন্দিরের সম্পাদক কিশোর কৃষ্ণ গোস্বামী জানান, ‘শনিবার যে গ্রহণ আছে তা অদৃশ্য এবং মধ্যরাতে। ওই সময় দেবতারা শয়নে থাকে তাই নবদ্বীপের কোন মঠ মন্দিরে গ্রহণের প্রভাব পড়ার কারণ নেই। অন্য সময় যে সমস্ত ভারতবর্ষে দৃশ্য গ্রহণ থাকে সে সমস্ত গ্রহণে ভোগরাগের সময় যদি গ্রহণ লাগে সেই সময়ের আগে ভগবানের উদ্দেশ্যে ভোগরাত নিবেদন করে সমস্ত কিছু ধুয়ে দেওয়া হয়। অথবা ভোগরাগের পরে যদি গ্রহণ লাগে বাড়তি ভোগরাগ বা প্রসাদ সমস্ত কিছু গ্রহণ লাগার আগে মানুষের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়া হয়।’ অথবা ফেলে দেওয়া হয়। সাধারণ মানুষ যেভাবে গ্রহণের নিয়ম মানে ঠিক সেভাবেই মোট মন্দিরগুলোতেও গ্রহণ পালন করা হয়।

Lunar Eclipse 2023 : উপচে পড়ে ভক্তদের ভিড়, প্রসাদ গ্রহণে লম্বা লাইন, চন্দ্রগ্রহণেও খোলা থাকে এই ৩ মন্দিরের ফটক

মায়াপুর-ইসকন

চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণের বিষয়ে ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানান,’চন্দ্রগ্রহণে তেমন প্রভাব পড়ে না কিন্তু সূর্য গ্রহণের সময় ভোগ বা প্রসাদের ব্যবস্থা আগে ও পরে করা হয়। সেদিন আরো বেশি করে নাম সংকীর্তনে মনোনিবেশ করে ভক্তরা। গ্রহণ ছাড়ার পর পঞ্জিকা অনুসারে গঙ্গাস্নান করা হয়। যেহেতু আগামীকালের গ্রহণ অদৃশ্য তাই সেভাবে পালিত হবে না আর সেই সময়তে ভগবান শয়নে থাকবে।’

বাঁকুড়ার অন্যতম বড় মন্দির এক্তেশ্বর শিব মন্দিরও খোলা থাকছে শনিবার। খোলা থাকবে পাঁচমুড়ার ত্রিধারা মিলন মন্দির । পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের জাগ্রত মন্দিরগুলিও শনিবার খোলা থাকবে বলে জানা গিয়েছে। খোলা থাকছে তমলুক বর্গভীমা মন্দির। দুর্গাপুর আসানসোলের সমস্ত মন্দিরও খোলা থাকছে বলে জানা গিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *