ভাইরাল ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে উত্তর চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর চন্ডিপুর অঞ্চলের চম্পানগর হাটে সরকারি প্রাণের ত্রিপল ৮০০ টাকা এক জোড়া দামে সাইকেলে করে বিক্রি করছেন। এমনকি হাটের গ্রাহকরা তার কাছে দরদাম করে সেই ত্রিপল কিনেও নিচ্ছেন। স্থানীয়
এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন, তারা হাটে গিয়ে দেখেন রাজ্য সরকারের সিলমোহর দেওয়া সরকারি ত্রাণের ত্রিপল খোলা হাটে বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্রেতাকে এই ত্রিপল কোথা থেকে এল জিজ্ঞেস করতে তিনি শুধু বলেন, ‘তার কাছে আরও অনেক ত্রিপল রয়েছে। কেনার হলে তখন বলবেন।’ কিন্তু, কোথা থেকে এল এই ত্রিপল তা নিয়ে কোন সদুত্তর দেয়নি ওই বিক্রেতা।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, সরকারি ত্রাণের ত্রিপল যেখানে দুঃস্থ ও ভাঙ্গন কবলিতরা পাচ্ছে না, সেই জায়গায় প্রশাসনের নজর এড়িয়ে খোলা বাজারে কীভাবে বিক্রি হচ্ছে এই ত্রিপল গুলি। তবে ঘটনা সম্পর্কে উত্তর চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নাসির শেখ বলেন, তিনি নিজেও সেই ভিডিয়োটি দেখেছেন, কিন্তু কোথা থেকে বা কিভাবে তার আত্মীয়ের কাছে এই ত্রিপল আসল বা কোথায় সে বিক্রি করছে তা তার জানা নেই।
এই ঘটনাকে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। দক্ষিণ মালদা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌড়চন্দ্র মন্ডল বলেন, ‘তৃণমূল দলটাই হচ্ছে চোর গঙ্গা ভাঙন থেকে চাল চুরি থেকে চাকরি চুরি থেকে ত্রিপল চুরি সবকিছুতেই তাদের নাম জড়িয়ে যায়। বন্যা দুর্গতদের জন্য সরকার দিচ্ছে ত্রিপল আর সেই ত্রিপল তৃণমূলের প্রধান উপপ্রধানরা লোককে দিয়ে হাটে বিক্রি করাচ্ছে।’ যদিও এই বিষয়ে মালদা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন জানান, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিয়োটি দেখতে পেয়েছি তবে সরকারের লোগোর দিয়ে যে ত্রাণের ত্রিপল বিক্রি করা হচ্ছে এটা রীতিমতো প্রশাসনকে বলা হয়েছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হোক যদি কেউ সরকারি ত্রাণের ত্রিপল এইভাবে হাটে বিক্রি করছে, যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। যদি এর পিছনেও আরও কেউ যুক্ত থাকে তাদেরকে ছাড়া হবে না।’