Digha Hotel : মধুচক্রের টাকার ভাগ নিয়ে বিবাদ, দিঘায় হোটেলকর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ – digha hotel worker allegedly killed by another worker


দিঘায় পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ছে অসামাজিক কাজ কর্ম। দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর-সহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র থেকে নানা অসামাজিক কাজের অভিযোগ উঠে উঠছে। সম্প্রতি পরপর কয়েকটি দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। এবার দিঘার হোটেলের মধ্যে কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ হোটেলেরই অপর কর্মীর বিরুদ্ধে। প্রাথমিক তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে দিঘা মোহনা থানার পুলিশের হাতে।

হোটেলে মধুচক্রে চালানোর অভিযোগ
অভিযোগ, হোটেলের মধ্যেই চলত মধুচক্রের আসর। সেখানে টাকার ভাগ নিয়ে বচসার সময়েই ওই হোটেল কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে থানা থেকে ওই হোটেল কার্যত ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে। পুলিশের নাকের ডগায় দিনের পর দিন কী ভাবে এই কাজ চলে, সেই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

টাকার ভাগ নিয়ে বচসা
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সৈকত শহর দিঘা মোহানা কোষ্টাল থানার অন্তর্গত গোবিন্দাবসান এলাকায় সি প্যারাডাইস নামে একটি হোটেলের দুই কর্মীর মধ্যে টাকা পয়সা সংক্রান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করে মারমারির ঘটনা ঘটনায ঘটে। তাতেই মৃত্যু হয় একজনের। নিহত ব্যক্তির নাম স্বপন দাস। তাঁর বাড়ি রামনগর থানার বালিসাই বড়রাঙ্কুয়া এলাকায়। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম তুহিন মুখোপাধ্যায় ও লাল্টু মণ্ডল।

মূল অভিযুক্ত ফেরার
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই হোটেলে দীর্ঘদিন ধরেই রমরমিয়ে চলতো মধুচক্রে।গভীর রাতে মধুচক্রের আসর বসত। গ্রামবাসীরা আরও জানাচ্ছেন, হোটেলের মূল ব্যবসা চালাতো তারক বেরা নামে এক যুবক। বর্তমানে সে ফেরার রয়েছে। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। গোটা ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সৈকত শহরে।

পুলিশি হেফাজতে ধৃতরা
এদিকে লাল্টু মণ্ডল হলদিয়ার বাসুদেবপুর এলাকায় বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ধৃত তুহিন মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি বারাসতে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ১২০-বি ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। লাল্টু মণ্ডল বর্তমানে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। আর তুহিন মুখোপাধ্যায়কে ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

প্রসঙ্গত, কয়েক মা আগে মন্দারমণি থেকে এক তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। পরে জানা যায় ওই তরুণী আদতে নদিয়ার বাসিন্দা। তাঁকে সেখানে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্যদিকে আবার কয়েকদিন আগে উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরের এক বধূর দেহ উদ্ধার হয় রামনগর থানার রেল স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে ঘন জঙ্গলের মধ্যে। একের পর এক এই ধরণের ঘটনায় আতঙ্ক বাড়ছে গোটা জেলাজুড়ে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *