পুজো শেষ, লক্ষ্মীপুজোও হয়ে গেল। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, এত বড় মণ্ডপ, এত আয়োজন, তার কী হবে? মণ্ডপ কি পুরোপুরি খুলে ফেলা হবে, না কি তা দেখা যাবে অন্য কোথাও, অন্য কোনও পুজোয়? এই প্রশ্নের উত্তরও পাওয়া গেল ক্লাবকর্তাদের কাছ থেকেই।
কোথায় যাচ্ছে মণ্ডপ?
লুমিনাস ক্লাবের অন্যতম কর্ণধার অরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘শিলিগুড়ি টাউনে হংকং মার্কেটের পাশে তরুণ সংঘ এই মণ্ডপ নিয়ে যাচ্ছে। কালীপুজোর জন্য নিয়ে যাচ্ছে এই মণ্ডপ।’ অর্থাৎ এই মণ্ডপ যে আসন্ন কালীপুজোতেও দেখা যাবে তা কিন্তু অরূপ মুখোপাধ্যায়ের কথা থেকেই স্পষ্ট।
পুজোয় অন্যতম ক্রাউড পুলার লুমিনাস ক্লাব
প্রসঙ্গত, এবারের দুর্গাপুজোয় অন্যতম ক্রাউড পুলার হিসেবে উঠে আসে কল্যাণী আইটিআই মোড়ে লুনিনাস ক্লাব। শুধু কল্যাণীই নয়, গোটা নদিয়ার পাশাপাশি ভিন জেলা, এমনকী কলকাতা থেকেও বহু দর্শনার্থী ভিড় জমান লুমিনাস ক্লাবের পুজোয়। দুর্গাপুজোর সময় ভিড় সামাল দেওয়া জন্য কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনে আপ লোকাল দাঁড়ানোর ক্ষেত্রেও নয়া নিয়ম লাগু করতে হয়। যদিও তাতে অবশ্য উৎসাহের খামতি হয়নি দর্শনার্থীদের। ভোর হোক বা গভীর রাত, উদ্বোধনের পর থেকেই থিকথিকে ভিড় দেখা যায় লুমিনাস ক্লাবের পুজোয়।
পরের বছরের থিম নিয়ে উৎসাহ
তবে লুমিনাস ক্লাব কিন্তু এবারেই প্রথম নয়, গতবারের পুজোতেও গোটা কল্যাণীজুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল। গতবছর মালয়েশিয়ার ট্যুইন টাওয়ারের আদলে মণ্ডপ তৈরি করেছিল তারা। তাই এবারে তারা কেমন মণ্ডপ করছে, তা নিয়ে প্রথম থেকেই ছিল বিপুল উৎসাহ। পাশাপাশি এবারের পুজো মিটে যাওয়ার পর তাদের আগামীবারের থিম নিয়েও ইতিমধ্যেই উৎসুক মানুষ। সেক্ষেত্রে আগামী বছর কল্যাণী লুমিনাস ক্লাব কী থিম করবে, বা কীসের আদলে তৈরি হবে তাদের মণ্ডপ, তা জানার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন আমজনতা।