থিম ছিল ‘ভাঙা গড়া’
এবার ৩৫তম বর্ষের পুজো ছিল বড়িশা ক্লাবের। বেহালার বড় পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম এই বড়িশা ক্লাব। প্রতি বছরই নিত্য নতুন থিম তথা ভাবনায় ফুটিয়ে তোলা হয় পুজো মণ্ডপ। বছর বছর প্রচুর মানুষ ভিড় জমান বড়িশা ক্লাবের পুজোয়। প্রতিবারই বেশকিছু পুরস্কারও জিতে নেয় তারা। এই বার বড়িশা ক্লাবের পুজোর থিম ছিল ‘ভাঙা গড়া’।
পুজোর শেষে রাজ্য সরকার আয়োজিত কার্নিভ্যালেও যোগ দেয় বড়িশা ক্লাব। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী ক্লাবের প্রতিমা সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেন। ফেসবুক পোস্টে ক্লাবের তরফে জানানো হয়েছে, ‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বড়িশা ক্লাবের এই বছরের দুর্গা প্রতিমা রবীন্দ্র সরোবর লেকে আজ থেকে সংরক্ষিত থাকবে।’
যা বললেন কাউন্সিলর…
এই প্রসঙ্গে এলাকার কাউন্সিলর সুদীপ পোল্লে বলেন, ঠাকুরটা কালকে কার্নিভ্যালে নিয়ে গিয়েছিলাম। ওখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘লেকে যে গ্যালারি আছে সেখানে থাকবে, আমরা কালকে দিয়ে এসেছি। আগেও আমাদের ঠাকুর ছিল। আমাদের ঠাকুরটা যেটা পার্মানেন্টলি সরকার রাখে, সেখানে থাকবে। এবার সরকার কী ভাবে রাখবে সেটা সরকার জানে।’
টালা প্রত্যয়ের শিল্পকর্ম দেখার সুযোগ
এদিকে টালা প্রত্যয়ের মণ্ডপের আর্টও আগামী ৩১ তারিখ পর্যন্ত থাকবে বলে জানানো হয়েছে কমিটির ফেসবুক পেজে। মণ্ডপের আর্ট আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ২টো থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত জন সাধারণের জন্য খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। আর এই সুযোগ দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানানো হয়েছে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে।
এই বছর টালা প্রত্যয়ের ভাবনা ছিল ‘কহন a narration’। শুধু থিম নয়, প্রতিমা বিসর্জনের ক্ষেত্রেও অভিনবত্ব দেখায় টালা প্রত্যয়। মণ্ডপেই দমকলের হোস পাইপ দিয়ে গলিয়ে ফেলা হয় প্রতিমা। মূলত গঙ্গার দূষণ আটকাতেই এই সিদ্ধান্ত নেন কমিটির সদস্য ও কর্তারা। আর শুধু তাই নয়, প্রতিমা তৈরিতে যে মাটি ব্যবহার হয়েছে, সেটিও সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে তা পরে কোনও সময় ব্যবহার করা যায়। কমিটির অভিনব এই বিসর্জনের পদ্ধতিকে সাধুবাদ জানিয়েছে বিভিন্নমহল।